গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনী হামলা শুরু করলে এর প্রতিবাদে বিশ্বের অনেক মুসলিম অধ্যুষিত দেশর জনগণ ইসরাইলি পণ্য বর্জন করতে শুরু করেন। পবিত্র রজমান মাস শুরু হওয়ায় মুসলিম দেশগুলোতে ইসরাইলি পণ্য, বিশেষ করে খেজুর বর্জন করার প্রবণতা বেড়েছে।
সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, রমজান মাসে অনেক দেশের মুসলিম সম্প্রদায় ইসরাইলি পণ্য বর্জন করছেন। এই তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। দেশ দুটির বেশির ভাগ মানুষই ইসরাইল থেকে আমদানি হওয়া খেজুর কেনা বর্জন করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় এক ব্যক্তিকে ভুল লেবেলে ইসরাইলের খেজুর বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে দেশটির কাস্টমস বিভাগ। অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়ার মুসলিম নেতারা দেশটির জনগণকে ইসরাইলি পণ্য আমদানি বর্জন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের ফলে মালয়েশিয়ায় ইসরাইলি পণ্য বর্জন ব্যাপক মাত্রা পেয়েছে। ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন অনেক কোম্পানির বিক্রিতে ধ্বস নেমেছে।
ইন্দোনেশিয়াতেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ইসরাইলি খেজুর বর্জনে প্রচারণা চলছে। দেশটির সামাজিক চ্যাট গ্রুপগুলোতে অভিযোগ করা হচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ায় ইসরাইলের খেজুর বেনামে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব খেজুর বর্জন করুন।
গত বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গরের ক্লাং পোর্টে একটি খাদ্য গুদামে অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করা হয়। সে সময় দেশটির অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও জীবনযাত্রার ব্যয়বিষয়ক মন্ত্রী আরমিজান মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘যারা ইসরাইলি পণ্য বিক্রি করে ভোক্তাদের বিভ্রান্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ার সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা ইন্দোনেশিয়ান কাউন্সিল অব ওলেমা (এমইউআই) এবং বৃহত্তম মুসলিম গণ সংগঠন নাদহাতুল উলেমা ইসরাইল থেকে আমদানি করা খেজুরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
নাদহাতুল উলেমার চেয়ারম্যান আহমেদ ফাহরুর রোজি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি দেখানোর এটাই (ইসরাইলি পণ্য বর্জন) সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ পথ।’