সোমালিয়ার জলদস্যুদের আরও এক জাহাজ ছিনতাই প্রচেষ্টা রুখে দেয়ার দাবি করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ সময় তাদের হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সোমালি জলদস্যুরা।
ভারতের নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, মাল্টার পতাকাবাহী ছিনতাই হওয়া জাহাজ ব্যবহার করে ছিনতাইয়েরে চেষ্টা করেছিল জলদস্যুরা। ভারতীয় নৌবাহিনী সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে।
ভারতীয় নৌবাহিনী সোমালিয়ার জলদস্যুদের ছিনতাই করা মাল্টার পতাকাবাহী একটি জাহাজে হস্তক্ষেপ করে। এ সময় জাহাজটি থাকা সব দস্যুকে আত্মসমর্পণ করতে বলে।
নৌবাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর সোমালিয়ার জলদস্যুরা এমভি রুয়েন নামের সাবেক পণ্যবাহী ওই জাহাজটি ছিনতাই করে, তারপর থেকে তারা এটিকে জলদস্যুতার ‘কাজে ব্যবহার করছে’।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ ছিনতাই করা ওই জাহাজটির পথরোধ করে। এ সময় নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার জাহাজটি কাছাকাছি গেলে এক সোমালি জলদস্যু সেটি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ভারতীয় নৌবাহিনীর শেয়ার করা এক ভিডিওতে এমনটি দেখা গেছে।
আট সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা যায়, এক জলদস্যু ডেকে এসে ছিনতাইকৃত জাহাজটির উপরে উড়তে থাকা একটি হেলিকপ্টারের দিকে রাইফেল তাক করে গুলি ছুড়ছে।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেভালফোর্স বা ইইউন্যাভফর বলেছে, তাদের ধারণা, বাংলাদেশের পতাকাবাহী বাল্ক ক্যারিয়ার এমভি আবদুল্লাহর দখল নিতে অপর একটি ছিনতাই করা জাহাজ ব্যবহার করেছে সোমালি জলদস্যুরা।
গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়।
এরপর মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) বেলা দেড়টায় মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। সর্বশেষ ২৩ নাবিকসহ জিম্মি জাহাজটি সোমালিয়ার গারাকাড উপকূলে নোঙর করা ছিল।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) পক্ষ থেকে জানানো হয়, শুক্রবার (১৫ মার্চ) জাহাজটিকে আরও প্রায় ৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে গদবজিরান উপকূল থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করা হয়।