যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন আসছে চাকরি ক্ষেত্রেও। প্রচলিত নিয়ম ভেঙে বেরিয়ে আসছে অনেক কোম্পানি, নিচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোগ। আর এর সবই করা হচ্ছে উৎপাদনশীলতা ঠিক রেখে কর্মীদের ওপর চাপ কমানোসহ এ ধরনের নানা চিন্তা থেকে।
পরীক্ষামূলকভাবে ৪ দিনের কর্মসপ্তাহ চালু করেছিল যুক্তরাজ্য। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই এখন চার দিন কর্মসপ্তাহের নিয়মটিকে স্থায়ী করেছে। অটোনমি নামের এক থিঙ্ক ট্যাংকের সাম্প্রতিক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গত বছর যুক্তরাজ্যের ৬১টি প্রতিষ্ঠান পরীক্ষামূলকভাবে ৬ মাসের জন্য সপ্তাহে চার দিনের কর্মদিবস চালু করেছিল। এক বছর পর এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৪টি প্রতিষ্ঠান নিয়মটি এখনো চালু রেখেছে। অন্যদিকে ৩১টি প্রতিষ্ঠান ছয় মাস পরই নিয়মটিকে স্থায়ী করেছে।
পরীক্ষামূলকভাবে পরিচালিত এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ৫৫ শতাংশ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বলেছেন, সপ্তাহে চার দিন অফিস চালু করার পর দেখা গেছে, কর্মীরা ৮০ শতাংশ সময়ের মধ্যেই তাদের শতভাগ কাজ সেরে ফেলেন। এই নতুন নিয়ম প্রতিষ্ঠানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এছাড়া ৮২ শতাংশ কর্মী বলছেন, তারা আগের চেয়ে বেশি সুস্থতা বোধ করেন। এই নতুন নিয়ম তাদের স্বাস্থ্যের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। অন্যদিকে ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বলেছে, তাদের কর্মীদের চাকরি ছাড়ার হার কমেছে। ৩২ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বলেছে, তাদের কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উন্নতি হয়েছে। আর ৪৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বলেছে, তাদের কর্মীদের উৎপাদনশীলতার উন্নতি হয়েছে।
অটোনমির গবেষণা প্রতিবেদনের লেখক ও বোস্টন কলেজের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক জুলিয়েট স্কোরের মতে, গবেষণায় দেখা গেছে, আগের ছয় মাসের তুলনায় কর্মীদের কর্মজীবনে উল্লেখযোগ্য ভারসাম্য এসেছে। তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে আগের তুলনায় এখন অনেক ভালো আছেন।
তবে কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক ম্যাথিউ পার্সিভাল বলেন, ‘চার দিনের কর্মসপ্তাহ সব প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত নয়।’