ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণ সরবরাহের প্রবেশপথগুলো খুলে দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্য বিশ্ব শক্তিগুলো ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এরইমধ্যে কয়েকটি দেশ বিমান থেকে গাজায় ত্রাণ ফেলা শুরু করেছে।
অন্যদিকে, সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য গাজা উপকূলে একটি অস্থায়ী ডক নির্মাণ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক মহলের বাড়তে থাকা চাপের মুখে পড়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৩ মার্চ) রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা গাজায় ত্রাণের বন্যা বইয়ে দেব।’
আরও পড়ুন
-
- মান্দায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল এক আরোহী নিহত
এর আগে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানায়, অন্তত ৬টি ত্রাণবাহী লরি নিরাপত্তা বেষ্টনির ৯৬তম গেট দিয়ে গাজা ভূখণ্ডের উত্তরে প্রবেশ করেছে। গাজার এই অংশটিতেই ক্ষুধার সংকট সবচেয়ে তীব্র।
আইডিএফ মুখপাত্র হ্যাগারি জানান, এ ধরনের আরও ত্রাণবহর যাবে এবং অন্য পয়েন্টগুলো দিয়ে আরও সরবরাহ প্রবেশ করবে। পাশাপাশি উড়োজাহাজ থেকে ত্রাণের প্যাকেজ ফেলা ও সাগরপথে জাহাজ ভর্তি ত্রাণ আসাও অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসীদের জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছে বাংলাদেশসহ ৯ দেশ। মিসরের বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক সংস্থা আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউসের মাধ্যমে এ ত্রাণ পাঠানো হয়।
সোমবার (১১ মার্চ) এক বিবৃতিতে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউস বলেছে, গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ত্রাণের যত চালান গেছে, সেসবের মধ্যে এ চালানটি বৃহত্তম। তারা গাজার উদ্দেশে ২০০ টন খাদ্য ও মেডিকেল সরঞ্জামবাহী ১০০টি ট্রাক পাঠিয়েছে।