যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আনা নির্বাচনে হস্তক্ষেপের ৬টি অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন জর্জিয়ার একজন বিচারক।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমস বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার (১৩ মার্চ) প্রকাশিত আদালতের ৯ পাতার নথিতে বলা হয়েছে, জর্জিয়ায় ৪১টি অভিযোগের মধ্যে ৬টি খারিজ হয়েছে। এর মধ্যে সরাসরি তিনটি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এরপরও তাকে আরও ১০টি অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে।
খারিজ হওয়া ছয়টি অভিযোগে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প ও তার সহযোগীরা ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিতে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের শপথ ভঙ্গ করতে অনুরোধ করেছিলেন।
ওই নির্বাচনে জর্জিয়ায় ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। জর্জিয়ার মতো একটি অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের জয় পাওয়াটা বেশ গুরুত্ববহ ছিল।
জর্জিয়ার ফুলটন কাউন্টি সুপিরিওর আদালতের বিচারক স্কট ম্যাকঅ্যাফে বলেন, এ ৬টি অভিযোগ সামনে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়নি।
তবে মামলাটির সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ খারিজ করেননি বিচারক স্কট। সেই সঙ্গে প্রসিকিউটররা চাইলে খারিজ হওয়া অভিযোগগুলোর বিষয়ে একটি নতুন, আরও বিস্তারিত অভিযোগ আনার সুযোগ খোলা রেখেছেন আদালত।
এদিকে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার দৌঁড়ে জয়লাভ করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে, গত ৭০ বছরের ইতিহাসে দেশটির সাবেক ও বর্তমান প্রেসিডেন্টের মধ্যে পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে।
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য বাইডেনের প্রয়োজন ছিল ১ হাজার ৯৬৮ প্রতিনিধির সমর্থন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান এডিসন রিসার্চ বলছে, জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে অনুষ্ঠিত প্রাইমারির (প্রাথমিক বাছাইয়ের ভোট) ফলাফল আসতে শুরু করায় মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাতে যথেষ্টসংখ্যক প্রতিনিধির সমর্থন নিশ্চিত করেন বাইডেন।
একইদিনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ১ হাজার ২১৫ প্রতিনিধির সমর্থন নিশ্চিত করেছেন। এদিন জর্জিয়াসহ চারটি অঙ্গরাজ্যে প্রাইমারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেয়ার চেষ্টায় জড়িত থাকায় জর্জিয়ায় রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প এখন একাধিক ফৌজদারি অভিযোগের সম্মুখীন।