চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলছেন লিওনেল মেসি। দারুণ পারফরম্যান্সে দলকে জয়ের কক্ষপথে রেখেছেন লিও। এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে মায়ামি। অথচ গতবার মেসি নাম লেখানোর আগে পয়েন্ট টেব্যাবই ধুঁকছিল দ্য হিরনরা।
চলতি মৌসুমে ইন্টার মায়ামি মেসিকে ছাড়া একটিমাত্র ম্যাচেই খেলতে নেমেছিল। মন্ট্রিয়েলের বিপক্ষে সেই ম্যাচেই হেরে বসে তারা। এই এক তথ্যেই বোঝা যায় ইন্টার মায়ামি কতটা মেসিনির্ভর।
আগের ম্যাচে মন্ট্রিয়েলের বিপক্ষে মেসিকে ছাড়া খেলতে নেমে হার দেখেছিল ইন্টার মায়ামি। তবে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোরে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে ন্যাশভিলের বিপক্ষে মেসিকে নিয়ে খেলতে নেমে ৩-১ গোলের সহজ জয় পায় ইন্টার মায়ামি। এই জয়ে নিশ্চিত হয়েছে তাদের কোয়ার্টার ফাইনাল।
তবে এই ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট মাঠে থাকতে পারেননি মেসি। তার আগে প্রথমার্ধের ৮ মিনিটে সুয়ারেজকে দিয়ে গোল করানোর পর ২৩ মিনিটে নিজেই গোল করেন মেসি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার পাঁচ মিনিট পরেই মাঠ থেকে উঠে যান মেসি।
ন্যাশভিলের বিপক্ষে ম্যাচে বেশ কয়েকবার মেসিকে অস্বস্তিতে ভুগতে দেখা যায়। দ্বিতীয়ার্ধে তাকে তুলে নিতেই ফের ইনজুরির শঙ্কা মাথাচাড়া দিয়েছে। এরপর ইন্টার মায়ামি কোচ জেরারদো টাটা মার্টিনো জানিয়েছেন, আগামী শনিবার (১৬ মার্চ) ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচে মেসিকে খেলাবেন না তিনি।
চলতি মৌসুমের ব্যস্ত সূচি মেসির ওপর একটু বেশিই ভার ফেলছে। তাতে ক্লান্তি যেমন বাড়ছে, ইনজুরি শঙ্কাও বাড়ছে। তার ডান নিতম্বে অস্বস্তির বিষয়টি স্বীকারও করে নিয়েছেন কোচ টাটা মার্টিনো। তিনি বলেন, ‘ (মেসির) ডান নিতম্বে অতিরিক্ত চাপ লাগছে। আমরা দেখতে চেষ্টা করছি এটা সে সামলে নিতে পারে কি-না, কিন্তু এটা অস্বস্তিকর এবং আমরা তার বের হয়ে আসাটাকেই গুরুত্ব দিয়েছি।’
তিনি যোগ করেন, ‘তাকে পাওয়া যাচ্ছে না (শনিবারের ম্যাচে), এই একটা ব্যাপারই আমি বলতে পারি যা সামনে ঘটতে যাচ্ছে। তারা সম্ভবত এটার কিছু ছবি রেখেছে, আমরা দেখব এটা কতদূর গড়ায়।’
মেসির ইনজুরি শঙ্কা আর্জেন্টিনার কপালেও বাড়াচ্ছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। আগামি ২২ ও ২৬ মার্চ এল সালভেদর ও কোস্টারিকার বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। সেই দুই ম্যাচ সামনে রেখে আগামী সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রে অনুশীলন ক্যাম্প করবে আর্জেন্টিনা। ম্যাচ খেলতে হলে এই অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিতেই হবে মেসিকে। এমন সময়ে ইনজুরির শঙ্কা লিওনেল স্ক্যালোনির দলের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে।