মাছের খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করে খাওয়ানো হচ্ছে মানুষকে। চট্টগ্রামের আমদানিকারক মাসুদ ব্রাদার্স কানাডা থেকে নষ্ট, পোকায় ধরা ও মেয়াদোত্তীর্ণ ডাল মিলে ভাঙিয়ে বাজারজাত করছে। যা দিয়ে তৈরি হয় ব্যাসন, পেঁয়াজু ও চানাচুরসহ নানা খাদ্য। অপরদিকে আবাসিক ভবনের নিচে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চুল্লি বসিয়ে তৈরি হচ্ছে সেমাই।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মিলের ভেতরে ধুলাবালি আর নোংরা পরিবেশে স্তূপে স্তূপে রাখা মটর ডাল। সবই পোকায় খাওয়া ও নষ্ট। মেয়াদোত্তীর্ণ এসব মটর ডাল আমদানিকারক মাসুদ ব্রাদার্স এনেছে কানাডা থেকে। যা সেখানে মাছের খাবার হিসেবে পরিচিত। চট্টগ্রামের লাকি ডালের মিলে এসব চূর্ণ করে তা বাজারজাত করা হচ্ছে। অভিযানে মিল মালিককে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেন এক লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত জানান, মানুষ ঠকানোর কাজ চলছে। সব নষ্ট খাবার খাওয়ানো হচ্ছে মানুষকে। পুরো গুদামে পোকায় খাওয়া মটর ডালে ভরপুর। এসব নষ্ট মটর ডাল দিয়ে তৈরি হয় ব্যাসন, পেঁয়াজ, চানাচুরসহ ডাল জাতীয় খাবার। মিল মালিক দোষ চাপালেন আমদানিকারকের ওপর।
লাকি ডাল মিলের ম্যানেজার সুজন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের এখানে অনেকেই অনেক চাল, ডাল, ছোলা দিয়ে যায় অনেক আমদানিকারক। কিন্তু আমাদের কাজ হচ্ছে ভেঙে দেয়া।’
এর আগে একই জায়গায় ফায়ার সার্ভিসকে নিয়ে অভিযান চালানো হয় সেমাইয়ের কারখানায়। আবাসিক ভবনের ওপরে বসবাস করছে ৩০ টির বেশি পরিবার। আর নিচে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চুল্লি বসিয়ে তৈরী হচ্ছে সেমাই। ঝুকি বিবেচনায় ভবন মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সেমাই কারখানার মালিক নাজিম বলেন, ‘আমরা শুধু রোজার মাসেই এ সেমাই তৈরি করি। বছরের অন্য সময় করি না।’
পরবর্তীতে কামাল সওদাগরের ফ্যাক্টরিতে ক্ষতিকর ক্রোমিয়াম যুক্ত ট্যানারির বর্জ্য পোল্ট্রি ফিড এবং মাছের খাদ্যের সঙ্গে মেশানোর দায়ে ম্যানেজার মো. আবু তালেবকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এসব বর্জ্য মিশ্রিত পোল্ট্রি ফিড আগামী ৩ দিনের মধ্যে ধ্বংসের নির্দেশ দেয়া হয়। পরে ওই এলাকায় আরও বেশ কয়েকটি নানা গুদাম ও কারখানায় চলে অভিযান।