কোন দেশের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আছে এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি সিঙ্গাপুরে গিয়েছি, সেখানে তিন-চারগুণ বেশি দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। কাদের বলেন, আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। এখানে সরকার নিষ্ক্রিয় নয়। সরকার দ্রব্যমূল্য লাগামের মধ্যে রাখার জন্য সক্রিয় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সারাক্ষণ দেশের এই সংকট মোকাবিলায় সময় দিচ্ছেন।
নির্বাচনে বিএনপি আসে নাই, তারা আন্দোলনেও ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি বলেছিল নির্বাচনের পর মার্চে দুর্ভিক্ষ হবে। কোথায় দুর্ভিক্ষ চলছে দেশে? একটা লোক না খেয়ে মারা গেছে এমন উদাহরণ দেখাতে পারবেন?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, কারা দ্রব্যমূল্য সিন্ডিকেট করে বাড়িয়েছে তাদের আমরা খুঁজে বের করছি। এক্ষেত্রে যদি বিএনপির কেউ জড়িত থাকে তাদেরও আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
সরকার হঠাতে বিএনপি যখন ব্যর্থ, সবকিছুতেই যখন ব্যর্থ হয়েছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে তখন সরকারের কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত করার জন্য প্রয়াস চালাচ্ছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, সিন্ডিকেট থাকতে পারে। সিন্ডিকেট করে বিএনপি অপতৎপরতা করছে কিনা খতিয়ে দেখতে হবে। এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিএনপির সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা দেয়ার বিষয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা দাবি করতেই পারে। কিন্তু এই দাবির যৌক্তিকতা কতটুকু তা দেখতে হবে। বিদেশে নেয়ার সাথে চেকআপের কি সম্পর্ক তা আমি বুঝলাম না। শেখ হাসিনার উদারতা স্বীকার করতেই হবে। খালেদা দিয়া আজ বাসায় চিকিৎসা নিতে পারছেন এটা শেখ হাসিনার উদারতা।
খেজুরের দাম নির্ধারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণ নিম্নমানের খেজুর তো বাজারে আছে। এটাতো সত্যি কথা। সরকার তো নিম্নমানের খেজুরকে ভালো মানের খেজুর বলে চালায়নি।
২৬ নাবিক জিম্মির বিষয়ে সরকারের ভূমিকা কী জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অত্যন্ত তৎপর। তাদের মুক্তির বিষয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সোমালিয়ার আইনশৃঙ্খলা অবস্থা খুবই খারাপ। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। সেখানেও লেনদেনের বিষয়টা আসছে।
নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, উনি তো বাংলাদেশের নাগরিক, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের কারণে যদি শ্রমিকরা মামলা করে সেখানে আমাদের কী করার আছে?