মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দ্বীপ শহর রামরি দখল করার দাবি করেছে আরাকান আর্মি (এএ)। শহরটি চীনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চরের (এসইজেড) কাছে অবস্থিত। আরকান আর্মির দাবি, দীর্ঘ তিন মাস লড়াইয়ের পর শহরটি দখল করতে পেরেছে তারা।
মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী বলছে, রামরি দ্বীপের দুটি শহরের একটি রামরি ও অপরটি কায়াকপায়ু। এই কায়াকপায়ুতে চীন ও মিয়ানমারের যৌথ উদ্যোগে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর ও একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ চলছে। দুটি প্রকল্পেই বেশিরভাগ বিনিয়োগ চীনের।
কায়াকপায়ু গভীর সমুদ্রবন্দর ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে মিয়ানমার হয়ে চীনের ইউনান প্রদেশ পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি অর্থনৈতিক করিডরও চালু করেছে বেইজিং, যার মাধ্যমে চীন সরাসরি ভারত মহাসাগরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
আরাকান আর্মির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জান্তাবাহিনী বিগত কয়েক মাস ধরে রামরি শহরে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছিল। তবে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন ও বিমান হামলা চালানো হলেও জান্তাবাহিনী শহরটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
যদিও এ বিষয়ে জান্তাবাহিনী এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
আরাকান আর্মি জানিয়েছে, তারা রামরিতে জান্তাবাহিনীর সঙ্গে গত বছরের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। জান্তার আক্রমণে শহরটির সরকারি হাসপাতাল, বিদ্যালয়, বাজার, মার্কেট, ধর্মীয় স্থাপনার বড় একটি অংশই বিধ্বস্ত হয়েছে।
এএ’র দাবি, তারা বর্তমানে শহরটি থেকে পলায়নপর জান্তা সেনাদের আটক করার চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে, শহরটির বাসিন্দাদের এখনই নিজ নিজ বাড়িতে না ফিরে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটি বলেছে, বিগত তিন মাস ধরে শহরের প্রতিটি অংশে জান্তাবাহিনী বিপুল পরিমাণ মাইন পুঁতে রেখে গেছে। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত এসব মাইন অপসারণ করা সম্ভব না হয়, ততদিন বেসামরিক নাগরিকদের শহরে ফেরা উচিত হবে না।