পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসীদের জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছে বাংলাদেশসহ ৯ দেশ। মিসরের বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক সংস্থা আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউসের মাধ্যমে এ ত্রাণ পাঠানো হয়।
সোমবার (১১ মার্চ) এক বিবৃতিতে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউস বলেছে, গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ত্রাণের যত চালান গেছে, সেসবের মধ্যে এ চালানটি বৃহত্তম। তারা গাজার উদ্দেশে ২০০ টন খাদ্য ও মেডিকেল সরঞ্জামবাহী ১০০টি ট্রাক পাঠিয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ত্রাণবাহী ট্রাকের ছবি পোস্ট করে লেখেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গাজাবাসীর জন্য। জয় জননেত্রী শেখ হাসিনার জয়।
অন্যদিকে, মিসরের অনলাইন সংবাদমাধ্যম আরহাম অনলাইনকে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটির মুখপাত্র আবদেল-আলীম কাশতা বলেছেন, ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো মিশরের উত্তর সিনাই থেকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে গাজায় প্রবেশ করবে।
আবদেল-আলীম কাশতা বলেন, গত ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রমজান শুরুর আগ পর্যন্ত মোট ৪ হাজার টন ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পণ্য পাঠিয়েছে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে ত্রাণ পাঠানো হয়।’
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত গাজায় যত ত্রাণের ট্রাক প্রবেশ করেছে, সেসবের মধ্যে এ বহরটি সবচেয়ে বড়। মোট ৮০টি দেশের অনুদানের ভিত্তিতে ট্রাকটি সাজানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি অনুদান দিয়েছে ৯টি দেশ। দেশগুলো হলো: ইন্দোনেশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা ও জার্মানি। তিনি আরও বলেন, এসব খাদ্য সহায়তা রমজান মাসে ফিলিস্তিনিদের রোজা রাখতে সাহায্য করবে।
মুখপাত্র আরও বলেন, ‘গাজার শিশুরা পানিশূন্যতা ও অপুষ্টিতে ভুগছে। আমরা ত্রাণবাহী ট্রাকের মাধ্যমে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় দুধ, ডায়াপার ও ওষুধ পাঠাচ্ছি।’