দলের নির্ভরযোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যাটার হলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বিরাট কোহলিকে নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তার ব্যাটিং, দলের চাহিদা মেটাতে পারছে না বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে দেশটির বোর্ড। খবর দ্য টেলিগ্রাফের।
২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে ভারত ছিটকে যাওয়ার পর সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট থেকে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। এসময় রোহিতের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে দলের নেতৃত্ব পান হার্দিক পান্ডিয়া।কিন্তু গত নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপে গোড়ালির ইনজুরিতে তিনি ছিটকে গেলে আবার আসে পরিবর্তন।
বোর্ড ও নির্বাচকরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রোহিত ও কোহলির ভবিষ্যত ভাবনা জানতে চায়। সায় দিয়ে দুজনেই ১৫ মাসের বিরতি কাটিয়ে গত জানুয়ারিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে ফেরে। রোহিত তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে আগামী জুনের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা নিশ্চিতের পাশাপাশি ধরে রাখে তার নেতৃত্ব। কিন্তু কোহলির অ্যাঙ্কর ভূমিকার আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা, সেই বিষয়ে নিশ্চিত নন জাতীয় নির্বাচকরা।
দ্য টেলিগ্রাফের রিপোর্ট অনুযায়ী এই মুহূর্তে সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে কোহলি জাতীয় দলের চাহিদা অনুযায়ী মানানসই নন বলে মনে করছেন নির্বাচকরা। তার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে খেলার ধরন বদলাতে বলার থেকে আগ্রাসী স্বভাবের নতুন প্রজন্মের উপরে আস্থা রাখা শ্রেয় বলে মনে হচ্ছে আগরকরদের। নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর ও বোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কোহলির বিরুদ্ধে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সহজ কথায়, কোহলি যদি আগামী আইপিএলে ব্যাট হাতে চমকপ্রদ পারফরম্যান্স উপহার দিতে না পারেন, তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়তে পারেন। সেক্ষেত্রে তার জায়গা নেয়ার জন্য নতুন প্রজন্মের একাধিক ক্রিকেটার অপেক্ষায় আছেন।
এখন পর্যন্ত ভারতের হয়ে ১১৭টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন কোহলি। ১০৯টি ইনিংসে ব্যাট করে ৫১.৭৫ গড়ে সংগ্রহ করেছেন ৪০৩৭ রান। তিনি একটি সেঞ্চুরি ও ৩৭টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে।