ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি।।
নওগাঁর ধামইরহাটে ২ সন্তানের জননীকে হত্যা করে গলায় রশি বেঁধে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা কথা বলে চালিয়ে দেওয়া ব্যর্থ হয়েছে।
এলাকাবাসী ও থানা সুত্রে জানা গেছে, ১১ মার্চ সোমবার গভির রাতে উপজেলার বিহারী নগর গ্রামের মো. খোরশেদ আলমের পুত্রবধু মোসা. মহসিন (আয়না) (৩০) কে স্বামী নুর আলম (এরশাদ) (৩৫), শ্বাসুুড়ি মোসা. আমেনা বেগম (৫০), ছোট ভাই মো. শাকিল (২২) এবং ভগ্নিপতি মো. বিদ্যুৎ হোসেন (৪৪) এর যোগসাজশে মহসিনা কে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে বাড়ির মেইন গেটের সামনে আম গাছের ডালের সঙ্গে রশি বেঁধে আয়নার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে বলে প্রচার চালান। পরের দিন ১২ ই মার্চ মঙ্গলবার ভোর সকালে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌছান।
আয়নার লাশ গাছ থেকে নামিয়ে লাশের এস আই মাসুদ রানা সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। লাশসহ ঘটনা স্থল থেকে দু’জোড়া সেন্ডল জুতা, ১টি চটের বস্তা, ১ টি রশি ও ১ টি মই উদ্ধার করেন। এ ব্যাপারে ধামইরহাট থানার ওসি (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমান জানান, আয়নার শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ দেখা না গেলেও প্রাথমিক ভাবে ধারনা তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। সরজমিনে গেলে ওই গ্রামের মো. হারুন চৌধুরী জানান, নুর আলমের বাড়িতে গতকাল রাত ১০ টা পর্যন্ত ঝগড়া-ঝাটি চলে।
আয়নার বাবার বাড়ি পাশ্ববর্তী পত্নীতলা উপজেলার খান্দই গ্রামে। ১৫ বছর পূর্বে তাদের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। এবং সংসার জীবনে এক মেয়ে ও এক ছেলে জন্ম গ্রহন করেন। আয়নার চাচা আঃ হামিদ মন্ডল বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় অভিযোগ করেন। মামলার আয়ু এস আই ফারুক জানান, নুর আলমের বাড়িতে কোন লোকজন নাই। আয়নার লাশ ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ রিপোট লিখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।