রমজানে স্কুল বন্ধ রাখার হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেননি সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। এ অবস্থায় বুধবার (১৩ মার্চ) থেকে স্কুল খোলা বা বন্ধ থাকবে কিনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
প্রথম রমজানে স্কুল খোলা নাকি বন্ধ থাকবে এ সিদ্ধান্তের জন্য সোমবার (১১ মার্চ) দিনভর আদালতের দিকে তাকিয়েছিলেন দেশের কয়েক লাখ শিক্ষার্থী-অভিভাবক। স্কুল বন্ধের রোববারের (১০ মার্চ) হাইকোর্টের আদেশে যারা সন্তুষ্ঠ হয়েছিলেন তারাও পড়ে যান দ্বিধায়। কেননা স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তে অনড় মন্ত্রণালয়।
বিকেলের দিকে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি হয়। শুনানিতে স্কুল খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন। এসময় চেম্বার বিচারপতি প্রশ্ন রাখেন, এই কদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকলে কী এমন অসুবিধা হবে? পরে উচ্চ আদালতের আদেশ স্থগিত না করে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) আপিল বিভাগে শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় শুনানি হবে। এ সময় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
রিটকারী আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ বলছেন, চেম্বার আদালতের আদেশের ফলে মঙ্গলবার বন্ধ থাকবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়। শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রমজানে ক্লাস হলেও তা খুব একটা ফলপ্রসূ হয় না। সারা বছর পাঠ্যক্রম ভালো করে গোছানো থাকলে রোজার সময় স্কুল খোলা বা বন্ধ রাখা নিয়ে জটিলতায় পড়তে হত না।
এদিকে শিক্ষাপঞ্জি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রমজানে ক্লাস হলেও সংক্ষিপ্ত সময়ের কারণে তা খুব একটা ফলপ্রসূ হয় না। সারা বছর পাঠ্যক্রম ভালো করে গোছানো থাকলে রোজার সময় স্কুল খোলা রাখার বাধ্যবাধকতার জটিলতায় পড়তে হত না।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, ‘অন্যান্য সময় দেখা যাচ্ছে যে আমরা রিলাক্স মুডে থাকছি। কিন্তু রোজা আসার পর ক্লাস নেয়ার জন্য চাপাচাপি করছি। তাই আমাদের স্কুলের বার্ষিক যে ছুটির তালিকা আছে, সেটি এডিটিং করা দরকার।’
এর আগে রমজানের প্রথম ১০ দিন প্রাথমিক এবং ১৫ দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।