ব্রিটিশ রাজবধু কেট মিডলটনের মা দিবসের ছবি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। তার এই ছবিটিতে সম্পাদনা করার অভিযোগ জানিয়ে প্রত্যাহার করেছে পাঁচটি প্রভাবশালী সংবাদ সংস্থা। এরপর প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটন ক্ষমা চেয়েছেন।
কেনসিংটন প্যালেসের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি বিবৃতিতে কেট বলেছেন, ‘অনেক অপেশাদার ফটোগ্রাফারদের মতো, আমিও মাঝে মাঝে সম্পাদনার চেষ্টা করি।’
কেটের স্বামী প্রিন্স অব ওয়েলসের তোলা ছবিটি সার্জারির পর প্রকাশ করা তার প্রথম ছবি। জানুয়ারিতে কেটের তলপেটে সার্জারি হয়েছিলো।
ছবিটিতে সম্পাদনা করার অভিযোগে প্রত্যাহার করেছিল পিএ, রয়টার্স, এএফপি, এপি ও গেটি ইমেজের মতো সংবাদ সংস্থাগুলো।
এরপর এক্সে এক বিবৃতিতে কেট বলেছেন, ‘আমরা গতকাল যে পারিবারিক ছবি শেয়ার করেছি তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করি সবার মা দিবস ভালো কেটেছে।’
দুই মাস আগে পেটে সার্জারি হয় কেটের। সেই থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছেন তিনি। ছবিটি অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে কেট লিখেছেন, ‘গত দুই মাসে আপনাদের আন্তরিকতা ও অব্যাহত সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। সবাইকে মা দিবসের শুভেচ্ছা।’
রাজকীয় দম্পতির বিশেষ পারিবারিক অনুষ্ঠানের নিজস্ব ছবি প্রকাশ করা একটি নিয়মিত রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছবিগুলো নির্দেশনাবলীসহ মিডিয়া প্রকাশ করা হয়।
তাদের পারিবারিক ছবি অনলাইনে প্রকাশ করার আগে কেনসিংটন প্যালেসের সোশ্যাল মিডিয়া টিমের কাছে গিয়ে থাকতে পারে। তারাই প্রিন্স ও প্রিন্সেসের অ্যাকাউন্টগুলো নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বিবিসি বলছে, এমনও হতে পারে, মূল ছবিতে হয়তো কিছুটা সম্পাদনা করা হয়েছিল যার ফলে অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে।
তবে ছবিটি নকল এমন কোনো বিষয় নেই অথবা ছবিতে কেটকে যেমন দেখাচ্ছে তিনি বাস্তবে আরও বেশি অসুস্থ এমনটাও নয়। দুর্ভাগ্যবশত মনে হচ্ছে এখানে কেনসিংটন প্যালেস টিমের বড় ধরনের কোনো কৌশল হতে পারে।
Like many amateur photographers, I do occasionally experiment with editing. I wanted to express my apologies for any confusion the family photograph we shared yesterday caused. I hope everyone celebrating had a very happy Mother’s Day. C
— The Prince and Princess of Wales (@KensingtonRoyal) March 11, 2024
১০ মার্চ (রোববার) ছবিটি প্রত্যাহারে করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে যে ছবিটিতে কারসাজি করা হয়েছে। এ ধরনের কোনো ছবি প্রকাশ করা হবে না।
এরপর সংবাদ সংস্থা রয়টার্স বলেছে, তারাও ছবিটি প্রকাশের পর বিশ্লেষণ করে কারসাজি পেয়েছে। তাই তারাও ছবিটি প্রত্যাহার করেছে। পরে এএফপি ও গেটি ইমেজও একই পদক্ষেপ নেয়।