ঘটনাটা ম্যাচ শেষের একেবারে শেষ মিনিটে। সিটির ডি-বক্সে হেড করার চেষ্টা করছিলেন ম্যাক অ্যালিস্টার। তবে তখন বল আটকানোর চেষ্টায় অ্যালিস্টারের বুকে লাথি মারেন ডকু। তখনই লিভারপুলের কোচ ফাউলের দাবি করে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। যদিও তখন রেফারি সেটি পেনাল্টি দেয়নি। এমনকি, ভিএআর দেখেও তা ফাউল দেয়া হয়নি।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে রোববার (১০ মার্চ) হাইভোল্টেজ ম্যাচে লিভারপুলের মুখোমুখি হয় ম্যানচেস্টার সিটি। অ্যানফিল্ডে ম্যাচটি শেষ হয় ১-১ গোলে।
তবে ম্যাচের ফল ভিন্নও হতে পারতো। ম্যাচের বাড়ানো সময়ের অষ্টম মিনিটে ম্যানচেস্টার সিটির বক্সে হেড করার চেষ্টা করছিলেন লিভারপুলের মিডফিল্ডার ম্যাক অ্যালিস্টার। তাকে আটকানোর চেষ্টায় তার বুকে মাথি মারেন সিটির জেরেমি ডকু।
লিভারপুলের ফুটবলাররা তখনই ফাউলের দাবি করেন। কিন্তু তাতে কান দেননি রেফারি। ভিএআর কর্মকর্তাও একমত ছিলেন মাঠের রেফারির সঙ্গে। রেফারিকে আহ্বান জানানো হয়নি দ্বিতীয়বার ভিডিও দেখে তা পরীক্ষা করতে। একটু পরই শেষ বাঁশি বাজে।
রেফারির এমন সিদ্ধান্তের জন্য ম্যাচ শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। তিনি বলেন, ‘ভিএআর কক্ষে থাকা মানুষটার কেন মনে হলো পেনাল্টিটা সুস্পষ্ট ও নিশ্চিত (ক্লিয়ার অ্যান্ড অবভিয়াস) ছিল না? সে লাঞ্চে কী খেয়েছিল। এটা শতভাগ পেনাল্টি ছিল। তারা একটি ব্যাখ্যা অবশ্যই বের করবে। তবে মাঠের যে কোনো জায়গাতেই এটা শতভাগ ফাউল ছিল এবং সম্ভবত হলুদ কার্ডও প্রাপ্য ছিল।’
এমন ক্ষোভ প্রকাশের পর সম্ভাব্য কী ঘটতে পারে, সেটিও জানা আছে ক্লপের। লিভারপুল কোচ বলেন, ‘কেউ একজন হয়তো পরে আমাকে বোঝাবেন যে, কীভাবে এটা পেনাল্টি হয়নি। কিংবা হাওয়ার্ড (প্রফেশনাল গেম ম্যাচ অফিসিয়ালস লিমিটেডের প্রধান হাওয়ার্ড ওয়েব) আমাকে কালকে ফোন করবে এবং বলবে যে, সে দুঃখিত। সম্ভাব্য দুটি ব্যাপার হতে পারে এরকমই এবং কোনোটিতেই আসলে ম্যাচের ফল বদলাবে না।’
এই ড্রয়ের ফলে লিগ শিরোপার দৌড় আরও রোমাঞ্চকর হয়ে উঠলো। ২৮ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আর্সেনাল। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে টেবিলের দুইয়ে লিভারপুল। আর এক পয়েন্ট কম নিয়ে টেবিলের তিনে ম্যানচেস্টার সিটি।