ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ‘নৃশংস অপরাধ’ বন্ধ এবং ‘নিরাপদ মানবিক করিডরের ব্যবস্থা’ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিজেদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। রোববার (১০ মার্চ) এক লিখিত বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি। খবর আল জাজিরার।
বাদশাহর পক্ষে লিখিত বক্তব্যটি পাঠ করেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী সালমান আল-দোসারি। সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে সোমবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়া উপলক্ষে এই বক্তব্য দেন সালমান বিন আবদুল আজিজ।
সৌদি বাদশাহ আরও বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য বেদনাদায়ক যে ফিলিস্তিনে আমাদের ভাইয়েরা যখন হামলার শিকার হচ্ছেন, তখন এ বছর রমজান মাস এসেছে।’
এবারের রমজানে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার চিত্রটা হতে যাচ্ছে ভিন্ন। কারণ এমন এক পরিস্থিতিতে উপত্যকাটির বাসিন্দারা রমজানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যখন সেখানে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। মৃত্যুর পরোয়ানা মাথায় নিয়েই তাই রমজানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা।
গাজায় পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার (১০ মার্চ) জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা ৩১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আহত হয়েছেন ৭২ হাজারের বেশি মানুষ।
হতাহতের পাশাপাশি রমজানের আগমুহূর্তে ক্ষুধাও বিপর্যস্ত করেছে গাজাবাসীকে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে উপত্যকাটিতে অনাহারে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী-বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, উত্তর গাজার অবস্থা মর্মান্তিক। সেখানে সড়কপথে ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে না। আর রমজান যখন এগিয়ে আসছে, তখন প্রাণহানিও বাড়ছে।
এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলমান সংঘাতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলের হামলায় এক হাজারের বেশি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে।
রমজানের আগে গাজাবাসীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে একটি বার্তা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
তিনি বলেছেন, ‘গাজায় যারা ভয়াবহ দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন, তাদের সবার প্রতি সংহতি ও সমর্থন জানাচ্ছি। এ কঠিন সময়ে রমজান আমাদের আশার আলো দেখাবে।’