দেশের বাজারে জ্বালানি তেলে দাম ভারতের চেয়ে কম। এ পরিস্থিতিতে ভারতে জ্বালানি তেল পাচারের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
শনিবার (৯ মার্চ) বারিধারা লেক পার্কে নারী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিশ্ববাজারের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে দাম নির্ধারণের ফলে দেশে সব ধরনের জ্বালানির দাম কমেছে। এক্ষেত্রে পাশের দেশের চেয়ে দাম কম হওয়ায় ভারতে জ্বালানি তেল পাচারের আশঙ্কা রয়েছে। তবে পাচার রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সীমান্তে কঠোর নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আগামী কৃষি মৌসুম সামনে রেখে, গ্যাস বিদ্যুৎ জ্বালানি সরবরাহে যাতে কোনো ঘাটতি না হয়, এ ব্যাপারে সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, বিষয়টি জোর মনিটরিং করা হচ্ছে।
এর আগে গত ৭ মার্চ বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন ফর্মুলা অনুযায়ী জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
নতুন ফর্মুলা অনুযায়ী, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৭৫ পয়সা কমিয়ে ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন বিক্রি হচ্ছিল ১০৯ টাকায়।
প্রতি লিটার অকটেনের দাম ৪ টাকা কমিয়ে ১২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে প্রতি লিটার অকটেনের দাম ছিল ১৩০ টাকা।
আর ৩ টাকা কমিয়ে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২২ টাকা; যা আগে প্রতি লিটার বিক্রি হয় ১২৫ টাকায়।