ফিলিস্তিনের গাজায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ মাথায় পড়ে পাঁচ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। শুক্রবার (৮ মার্চ) গাজার উত্তরাঞ্চলীয় আল শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। খবর সিএনএনের।
আল-শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আল-শেখ পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য আল-শিফা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিক খাদের আল জানুন স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে। তবে কোন দেশের বিমান থেকে এসব ত্রাণ ফেলা হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ক্রমাগত হামলায় দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে ফিলিস্তিনিরা। তাদের অনাহারে থাকা এসব মানুষকে সহযোগিতায় গত কয়েকদিন ধরে বিমান থেকে ত্রাণ ফেলছে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশনার গত রোববার উত্তর গাজায় বিমান থেকে ৩৬ হাজার প্যাকেট খাবার ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। জর্ডানের সঙ্গে সমন্বয় করে এদিন দ্বিতীয়বারের মতো খাবার ফেলে জো বাইডেন প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডানের পাশাপাশি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর গত কয়েক সপ্তাহে গাজায় ২০ বারের মতো খাবারের প্যাকেট ফেলেছে।
বিমান থেকে এভাবে খাবার ফেলার বিষয়টি ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, গাজায় যে দুর্ভিক্ষ চলছে, বিমান থেকে ত্রাণ ফেলে তা কতটুকু মিটবে।
গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল, গাজার উত্তরে শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে। আনুমানিক ৩ লাখ শিশু খাবার ও পানির অভাবে ধুকছে। মানবিক ত্রাণ সহায়তা সংস্থাগুলো বলছে, এভাবে ত্রাণ দিয়ে ২৩ লাখ নাগরিকের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানো সম্ভব না।
এদিকে চলমান পরিস্থিতিতে ত্রাণ পাঠানোর জন্য সমুদ্রপথে একটি করিডর চালুর ঘোষণা দিয়েছেন ইউরোপিয়ান কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন।আগামী ১৫ মার্চ থেকে এই করিডরের মাধ্যমে উপত্যকাটিতে ত্রাণ পাঠানোর কাজ শুরু হবে বলেও জানানো হয়। এরমধ্যেই চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ফিলিস্তিনের শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থাকে পুনরায় অর্থায়নের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা।