তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সোমবার (৪ মার্চ) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। সিলেটে দুদলের ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। এ ম্যাচের আগে চলুন দেখে নেওয়া যাক মুখোমুখি দেখায় পরিসংখ্যানে কে কোথায় এগিয়ে, কোথায় পিছিয়ে।
২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে টি-টোয়েন্টির আগমনের পর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা খেলেছে ১৩টি ম্যাচ। দুদল প্রথম মুখোমুখি হয় ২০০৭ সালে। ১৩ দেখায় লঙ্কানরা ৯ ও বাংলাদেশ ৪টি ম্যাচে জয় পেয়েছে। দুদলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়েছে ৪টি; ৩টিতেই জিতেছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ একটি সিরিজ ড্র করেছিল।
মুখোমুখি দেখায় দুদলের মধ্যে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন রানের ইনিংসটি বাংলাদেশের। ২০১৮ সালে কলম্বোতে ৫ উইকেটে ২১৫ রান করেছিল টাইগাররা। একই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা সর্বোচ্চ করেছিল ২১৪ রান। ২০০৭ সালে জোহানেসবার্গে বাংলাদেশ করেছিল সর্বনিম্ন ৮৩, শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন রানের ইনিংসটি ১২৩, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
রান, উইকেট কিংবা বল; টি-টোয়েন্টিতে তিন বিবেচনায়ই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়টি শ্রীলঙ্কার। ২০১৮ সালে ৭৫ রানে জিতেছিল তারা, উইকেটের হিসাবে সবচেয়ে বড় জয়টি ৬। রানের হিসাবে বাংলাদেশের বড় জয়টি ৪৫ রানে, উইকেটের হিসাবে ৫। শ্রীলঙ্কা সর্বোচ্চ ২০ বল হাতে রেখে জিতেছিল, বাংলাদেশ জিতেছে সর্বোচ্চ ২ বল হাতে রেখে। মুখোমুখি দেখায় রানের হিসাবে সর্বনিম্ন ব্যবধানে (২ রান) জয়টি শ্রীলঙ্কার, উইকেটের হিসাবে বাংলাদেশের (২ উইকেট)।
দুদলের মধ্যে ইনিংসে সবচেয়ে বেশি এক্সট্রা নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ ২৬ রান রান নিয়েছিল তারা, বাংলাদেশ সর্বোচ্চ এক্সট্রা নেয় ২১, ২০১৮ সালে। সর্বনিম্ন এক্সট্রা (১ রান) দেওয়ার কৃতিত্বটি লঙ্কানদের, বাংলাদেশ সর্বনিম্ন এক্সট্রা দিয়েছে ৩ রান।
মুখোমুখি দেখায় টি-টোয়েন্টিতে দুদলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করেছেন কুশাল পেরেরা। ৮ ইনিংসে তিনি করেছেন ৩৬৬ রান। যদিও শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণের কারণে এবারের সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান মুশফিকুর রহিমের। ডিপেন্ডেবলখ্যাত এই ব্যাটার ১১ ইনিংসে করেছেন ৩০০ রান।
দুদলের খেলোয়াড়দের মধ্যে যৌথভাবে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি চারিথ আসালাঙ্কার, ২০২১ সালের বিশ্বকাপে শারজায় ৮০ রান করেন তিনি। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সাব্বির রহমানও খেলেছিলেন ৮০ রানের ইনিংস। মুখোমুখি দেখায় কমপক্ষে ১০০ রান করেছেন, এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেট (১৬৭.৩৩) কুশাল মেন্ডিসের। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেট মুশফিকুর রহিমের (১৪৭.৭৮)।
দুদলের খেলোয়াড়দের মধ্যে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি উইকেট সাকিব আল হাসানের। ৯ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। যদিও এই সিরিজে খেলছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। মুস্তাফিজুর রহমানও ৯ ইনিংসে নিয়েছেন ১২ উইকেট। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গার, ১১।