প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচন সবচেয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল।’
রোববার (৩ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন তিনি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সম্মেলন শুরু হয়।
সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ ও বাস্তবায়নের জন্য মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত সফলভাবে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেছেন জেলা প্রশাসকরা। কেননা, ৭৫-পরবর্তী সবচেয়ে ভালো ও নিরপেক্ষ ভোট হয়েছে এবার৷ জনগণ এবার নিজেদের মতো করে ভোট দিতে পেরেছে, এর কৃতিত্ব মাঠ প্রশাসনের৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই, আমাদের দেশ এগিয়ে যাক, এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, একটা সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে উন্নয়নটা টেকসই হয় না, এটা প্রমাণিত সত্য।
রমজানে নিত্যপণ্যের বাজারের দিকে জেলা প্রশাসকদের নজর দেয়ার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রমজানে কিছু ব্যবসায়ী আছে যারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দেয়৷ বিদেশ নির্ভরতা কমাতে হবে৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যাতে সময়মতো মানুষের কাছে ন্যায্যমূল্যে পৌঁছায়, সে জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে৷ মজুতদারদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে৷’
শেখ হাসিনা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জনগণকেই স্মার্ট করতে হবে৷ ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এখন আয়কর দেয়ার মতো মানুষ আছে, কিন্তু সেগুলো সংগ্রহের ব্যাপারে সচেতনতা জরুরি৷
সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যকর করতে ডিসিদের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, মানুষ যেন ভাতার ওপর নির্ভরশীল না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে৷ মানুষকে সচেতন করুন৷
সরকারপ্রধান বলেন, শিক্ষার্থীরা কেন কিশোর গ্যাং হয়ে উঠছে। সমাজ ও পরিবারে সচেতনতা জরুরি৷ বোঝাতে হবে তাদের, নয়তো অপরাধ করলেই গ্রেফতার করে জেলে দিলে কাজ হবে না৷ তখন কিশোররা জেলেই আরও দুর্ধর্ষ হয়ে উঠতে পারে৷ পারিবারিক শিক্ষার দিকে নজর দিতে হবে৷