সাইদুজ্জামান রেজা,পঞ্চগড় প্রতিনিধি।।
পঞ্চগড়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর উন্নয়ন কাজে আটকে গেছে।জেলাজুরে ১৫ টিরও অধিক সড়কের নির্মাণ কাজ ৫-৬ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। নির্ধারিত সময় শেষ হলেও সড়কগুলোর কাজ হয়েছে ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ আবার কোন কোন সড়কের কাজ এখন পর্যন্ত শুরুই হয়নি।
এমন মন্থর গতির কারণে নির্মাণ কাজ আটকে গেছে। দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দিনের পর দিন প্রকল্প এলাকার লাখ লাখ মানুষের।
এলজিইডি বিভাগের দেয়া তথ্যমতে,পঞ্চগড় থেকে হারিভাসা, গোয়ালঝাড়-দশমাইল, চাকলাহাট ইউপি হয়ে জয়ধরভাঙ্গা,ফুটকীবাড়ি হেলথ সেন্টার হয়ে বজরাপাড়া,পঞ্চগড়- আটোয়ারী সড়কের পূর্ব প্রধানপাড়া সিপাহিপাড়া,পঞ্চগড়-চাকলাহাট সড়কের কুচিয়ামোড় মাদ্রাসা,পঞ্চগড়-চাকলাহাট সড়কের গলেহা সরকারপাড়া।তেঁতুলিয়া উপজেলায় পাঠানপাড়া সড়ক থেকে কাসিমগছ,তেঁতুলিয়ায় গোবরা সেতু হয়ে শালবাহান,লোহাকাচি হাসানের বাড়ি হয়ে মনজুর বাড়ি ডাঙ্গাপাড়া,বুড়াবুড়ি ইউপি বন্দিভিটা শালবাহান ইউপি।বোদা উপজেলার পাথরাজহাট ঝলইশালসিরি ইউপি হয়ে লাঙ্গলগ্রাম ও কাজলদিঘী-নিচারঘাট সড়ক।দেবীগঞ্জে বাগদহ ইউপি থেকে চেংঠি বাজার পর্যন্ত সড়ক।আটোয়ারী দারিয়াখুরি পুকুর হয়ে বানিয়াপাড়া মোড়।এ সড়কগুলোর নির্মাণ কাজ পর্যায়ক্রমে ২০১৮-১৯ সালে শুরু হয়ে শেষ হওয়ার কথা ২০২১-২২ সালের মধ্যে।কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা আর এলজিইডির তদারকির অভাবে কোন সড়কের কাজ হয়েছে ৩০-৭০ শতাংশ আবার এখন পর্যন্ত অনেক সড়কের কাজ শুরুই করা হয়নি।
নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো হল,কে হাসান এন্টার প্রাইজ,আফিরুল ইসলাম,গোলাম রসুল,ফ্রেন্ডস ইন্টারন্যাশনাল,সাদেকা এন্টার প্রাইজ,শাহাদাত হোসাইন ও এএইচ-এএসবি জেভি।নাবিহা এন্টার প্রাইজ।
স্থানীয়রা জানান,পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য দপ্তরটি এ সড়কগুলোর কাজ হাতে নেয়।কিন্তু কাজের মাঝ পথে গিয়ে কাজগুলো আটকে গেল,এখন ওই সড়কে চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হয় মানুষের।
গলেহা সরকার পাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন বলেন,চার-পাঁচ বছর আগে সড়কটির কিছু কাজ করে বন্ধ করে দেয়।এখন সড়কটি খানাখন্দে ভরে গেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে হাসান এন্টার প্রাইজের প্রোপাইটর বলেন,কাজের সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে।অনুমতি পেলে কাজ অতি তারাতারি শেষ করা হবে।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো.মাহমুদ জামান জানান,বৈশ্বিক কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে নির্মাণ কাজে ব্যাঘাত ঘটে কিছু সড়কের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করতে ঠিকাদারকে চিঠি লিখা হচ্ছে।আর কাজ না করলে তাদের সাথে কথা বলে পুনরায় টেন্ডার দেয়া হবে।