ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে ৪ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন য়্যুভেন্তাসের ফরাসি ফুটবলার পল পগবা। নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকলে ৩০ বছর বয়সী পগবা ফুটবলে ফিরবেন ৩৪ বছর বয়সে, ততদিনে ক্যারিয়ার প্রায় শেষই হয়ে যাবে বিশ্বকাপজয়ী তারকার। সার্বিকভাবে নিষেধাজ্ঞা পাওয়ায় পগবাও খুব ভেঙে পড়েছেন।
নিষিদ্ধ ওষুধ সেবনের অভিযোগ আসার পর গত বছরের ২০ আগস্ট টেস্টোস্টেরন টেস্ট করা হয় পল পগবার। সেখানে দেখা যায়, টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়েছে পগবার। টেস্টোস্টেরন হলো এক প্রকার হরমোন, যা খেলোয়াড়দের মাঠে আরও বেশি সময় সক্রিয় থাকতে সহায়তা করে। রিপোর্ট অনুযায়ী পগবা টেস্টোস্টেরন বাড়িয়েছিলেন। ফলে নিষেধাজ্ঞাও পেলেন রাশিয়া বিশ্বকাপজয়ী তারকা।
নিষেধাজ্ঞা পেলেও সিদ্ধান্তকে ভুল বলছেন পগবা। ইনস্টাগ্রামে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমি আজ ট্রাইব্যুনাল নাজিওনাল অ্যান্টিডোপিংয়ের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত হয়েছি এবং বিশ্বাস করি যে রায়টি ভুল। আমি দুঃখিত, হতবাক এবং হৃদয়বিদারিত। এতদিনে আমি যে পেশাদার ক্যারিয়ারে তৈরি করেছি তা আমার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমি যখন আইনি সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হব তখন পুরো ঘটনাটি পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমি কখনই জ্ঞাতসারে বা ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যান্টি-ডোপিংয়ের নিয়ম লঙ্ঘন করে এমন কিছু গ্রহণ করিনি।’
আরবিট্রেশন কোর্টে আপিল করবেন জানিয়ে পগবা লেখেন, ‘একজন পেশাদার ক্রীড়াবিদ হিসাবে নিষিদ্ধ পদার্থ ব্যবহার করে আমার পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য কখনই কিছু করব না এবং আমি যে দলের হয়ে বা যে দলের বিপক্ষে খেলেছি তার কোনো সহকর্মী ক্রীড়াবিদ এবং সমর্থকদের সঙ্গে অসম্মান বা প্রতারণামূলক কিছু করিনি। আমি আরবিট্রেশন কোর্টে আপিল করব।’