নড়াইলের কালিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় নিলয় মোল্লা (১৬) নামে এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের তালবাড়িয়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থী নিলয় মোল্লা উপজেলার টোনা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ও টোনা গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য সুলতান আহমেদ মোল্লার (পিকু মোল্লা) ছেলে। এ সময় নিলয় মোল্লার সঙ্গে থাকা তামিম খান নামে অপর এক শিক্ষার্থীও আহত হয়। তামিম একই গ্রামের ইকরাম খানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিলয় মোল্লা ও তামিম খানসহ এলাকার কয়েক ব্যক্তি উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামে শুক্রবার রাতে ওয়াজ মাহফিলে ওয়াজ শুনতে যান। বাড়ি ফেরার পথে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দুর্বৃত্ত দল তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিলয় মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আহত তামিম খান সময় সংবাদকে বলেন, ‘গত ১০ থেকে ১৫ দিন আগে টোনা গ্রামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে ব্রাহ্মণপাটনা গ্রামের কামরুল খানের ছেলে শাকিল খান উত্ত্যক্ত করে। এ সময় নিলয় মোল্লা উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ জানান। নিলয় প্রতিবাদ করায় শাকিল খান তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। পরবর্তীতে স্থানীয়রা ঘটনাটি মীমাংসা করে দেন। এ ঘটনা জেরে শুক্রবার মাহফিল থেকে ফেরার পথে শাকিল খানসহ আরও বেশ কয়েকজন আমাদের (নিলয় ও তামিম) পাশে ডেকে নিয়ে রামদা, সামুরা ও সেভেন গিয়ার অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ সময় আমাদের চিৎকারে ওয়াজ মাহফিলে থাকা লোকজন এসে উদ্ধার করে।’
এ বিষয়ে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পার্থ প্রতিম বিশ্বাস জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা দুজনের মধ্যে নিলয় নামে এক ব্যক্তিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তামিম নামে অপর এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, ‘নিলয় মোল্লা নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আর ময়নাতদন্ত জন্য মরদেহ নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’