ইউরোপে আশ্রয় আবেদনে নতুন রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশিরা। গেল বছর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেতে আবেদন করেন ১১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ, যার মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। বেশিরভাগই যেতে চান ইতালি ও ফ্রান্সে।
শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এজেন্সি ফর এসাইলাম (ইইউএএ) প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে নতুন এই তথ্য উঠে এসেছে।
উন্নত জীবন, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আর নিরাপত্তার আশায় প্রতি বছরই ইউরোপে যান অসংখ্য মানুষ। অবৈধ পথে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন অনেকে। কেউবা আবার নানা কারণ দেখিয়ে করেন আশ্রয়ের আবেদন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এজেন্সি ফর এসাইলাম প্রকাশিত নতুন এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে উদ্বেগজনক এক তথ্য।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ইইউ’র শরণার্থী বিষয়ক সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন রেকর্ড সংখ্যক মানুষ। আন্তর্জাতিক সুরক্ষা চেয়ে আবেদনকারীর সংখ্যা ১১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এই পরিসংখ্যানে ইউরোপের দোরগোড়ায় জেঁকে বসা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে ইইউ’র ওপর তৈরি হওয়া ক্রমবর্ধমান চাপ ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতির হুমকিও প্রতিফলিত হয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩ সালে ইউরোপে আশ্রয় চেয়ে করা আবেদনের সংখ্যা এর আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি। যা ২০১৫-১৬ সালে বিশ্বজুড়ে তৈরি হওয়া শরণার্থী সংকটের পর সর্বোচ্চ। সে বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৩ লাখ মানুষ ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন।
ইইউএএ’র তথ্য বলছে, গেল বছর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে আশ্রয় প্রার্থীদের পছন্দের শীর্ষে ছিল জার্মানি। আর আশ্রয়ের আবেদনে সবার শীর্ষে আছেন সিরীয় নাগরিকরা। এরপরই এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আরেক দেশ আফগানিস্তান।
এর আগে, গেল মাসে ইইউ’র সীমান্ত সুরক্ষা বিষয়ক সংস্থা ফ্রন্টেক্সের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২০১৬ সালের পর বর্তমানে ইউরোপে অবৈধ সীমান্ত ক্রসিংয়ের সংখ্যাও আশঙ্কাজন হারে বেড়েছে।