জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলাসী পণ্য হিসেবে খেজুরের শুল্ক নির্ধারণ করে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। যেখানে ১১০ টাকা কেজি দরে আমদানি করা খেজুরে শুল্ক দিতে হয় ১৪০ টাকা আর ১২০ টাকা কেজির খেজুরে ২১০ টাকা শুল্ক নেয়া হচ্ছে। সবার সহযোগিতা না পেলে বাজারে খেজুরের দাম কমানো যাবে না বলে দাবি করেছে তিনি।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) বোর্ডরুমে উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা তোলা হয়। রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর উৎপাদন, আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও সামগ্রিক দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনার আয়োজন করে এফবিসিসিআই।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এক কেজি খেজুরে খরচ পড়ে ১১০ টাকা আর শুল্ক দিতে হয় ১৪০ টাকা। ফলে বাজারে বিক্রি করতে হয় ২৫০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে ১২০ টাকা কেজির খেজুরে ২১০ টাকা শুল্ক দিতে হয়। আর বাজারে বিক্রি করতে হয় ৩৩০ টাকায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই শুল্ক যুক্ত করা হয়েছে। অথচ গত বছর এক কেজি খেজুরে মাত্র ১০ টাকা শুল্ক দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘৯০০-১০০০ ডলারে খেজুর আমদানি করলাম। কিন্তু চট্টগ্রামের কাস্টম কমিশনার সাধারণ কনটেইনার খেজুরের জন্য ২৫০০ ডলার এবং হিমায়িত কনেটেইনারে খেজুরের জন্য ৪০০০ ডলার শুল্ক নির্ধারণ করেছে। এতে খেজুরের দাম দুই থেকে তিনগুণ বেড়ে গেছে। আমরা এনবিআরে কথা বলেছি, তারা কোনো যুক্তি দেখাতে পারল না কেন শুল্ক এত বাড়ানো হলো।’
এই ব্যবসায়ীর দাবি, ‘এক কার্টন খেজুর আমাকে বিক্রি করতে হবে সাড়ে ৪০০০ টাকায়। যেখানে কেজি পড়বে ৪৫০ টাকা। যদি আমরা সবাই সহযোগিতা না করি, তাহলে বাজারে খেজুরের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে দাম রাখতে পারব না।’
এদিকে রমজান মাসে ব্যবসায়ীদের ‘ন্যায্য লাভ’ করতে বলেছেন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
তিনি বলেন, ‘রমজান মাস ইবাদতের মাস। আপনারা সারা বছর ব্যবসা করেন, রমজান মাসেও ব্যবসা করবেন। পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে ফেস্টিভ্যালে ছাড় দেয়া হয়। আমাদের দেশেও তেমনটা হতে হবে।’
রমজানে পুলিশ দিয়ে বাজার মনিটরিং করাতে চান না বলে জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, ‘পণ্যের দাম ঠিক না রাখলে সরকারিভাবে হয়রানির শিকার হতে হবে। এটা আমরা চাই না। অসৎ ব্যবসায়ীর পক্ষে কোনো কথা হবে না।’