ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর প্রধান ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো। এর আগে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়ে ইঙ্গিত দেয় ফ্রান্স। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা জানালো ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্যারিসে ইউরোপীয় নেতাদের এক বৈঠকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার বিজয় ঠেকানোর কোনো বিকল্পই পশ্চিমা দেশগুলোর বাদ রাখা উচিত হবে না।’ যদিও তিনি গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে এই মুহূর্তে দেশগুলোর মধ্যে সর্বসম্মত কোনো মত নেই।’
এদিকে ইউক্রেনে সেনা পাঠানো নিয়ে এমন আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্রেমলিন সতর্ক করে বলেছে, ‘এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিলে তা রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে বিবাদের সূচনা করবে।’
জার্মানি, যুক্তরাজ্য, স্পেন, পোল্যান্ড ও চেক রিপাবলিকের নেতারাও তিন বছরে গড়ানো ইউক্রেন যুদ্ধে নিজেদের কোনো সেনা পাঠানোর আভাস নাকচ করে দিয়েছেন।
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বলেছেন, ‘ইউক্রেনের মাটিতে ইউরোপের দেশ বা ন্যাটোর সদস্যদের পক্ষ থেকে কোনো স্থলসেনা পাঠানো হবে না।’
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াসও এ ব্যাপারে একই রকমের অনমনীয় মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। ভিয়েনায় এক সফরে তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়টি জার্মানির ভাবনায় নেই।’
পরে হোয়াইট হাউস বলেছে, তাদেরও ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। এর বদলে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের প্রতি ইউক্রেনকে নিরাপত্তা সহায়তা দেয়া নিয়ে স্থগিত এক বিলে অনুমোদন দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।