পিএসজি ছেড়ে ২০২২ সালেই রিয়াল মাদ্রিদে যেতে চেয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। দুপক্ষের মধ্যে চুক্তির কথাবার্তাও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে শেষমেশ ক্লাবের অনুরোধে চুক্তি নবায়ন করেন তিনি। পিএসজিতে থেকে যেতে তখন এমবাপ্পেকে যারা প্রভাবিত করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ২ বছর পর ফরাসি তারকা আবারও দলবদল করতে যাচ্ছেন। সেই গুঞ্জনের মধ্যেই তাকে নিজের বাড়িতে ডাকলেন ম্যাক্রোঁ।
পিএসজির সঙ্গে লম্বা সম্পর্কে ইতি টানতে যাচ্ছেন এমবাপ্পে। ক্লাবকেও জানিয়ে দিয়েছেন বিষয়টি। ইউরোপীয় গণমাধ্যম জানাচ্ছে, নতুন গন্তব্য রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ইতোমধ্যে চুক্তিও সেরে ফেলেছেন ফরাসি তারকা। দলবদলের এমন গুঞ্জনের সময় মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিজের বাসভবন এলিসি প্যালেসে এমবাপ্পেকে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ম্যাক্রোঁ।
নিমন্ত্রণ রক্ষা করে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে গিয়েছেন এমবাপ্পে। মঙ্গলবার এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইতালিয়ান নির্ভরযোগ্য সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানিও। মূলত তার আগমন উপলক্ষেই আয়োজিত হয়েছে এই নৈশভোজ।
তবে এ নৈশভোজটা এমবাপ্পেকে পিএসজিতে ধরে রাখা বা তার মাদ্রিদ যাত্রা আটকানোর জন্যে নয়। চলমান ইসরাইল-হামাস সংঘাতে যুদ্ধ বিরতি ও জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়ে সমঝোতা করতে ম্যাক্রোঁর অনুরোধে ফ্রান্সে উপস্থিত হচ্ছেন কাতারের আমির। এমবাপ্পে বা খেলাইফি সে আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন না বলেই জানিয়েছে লা প্যারিসিয়ান। তারা শুধু নৈশভোজের জন্যই আমন্ত্রিত।
২০২২ সালে প্রেসিডেন্টের অনুরোধে রিয়াল যাওয়ার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিলেও এবার আর সেটা করছেন না এমবাপ্পে। ইউরোপের একাধিক গণমাধ্যমের খবর, ইতোমধ্যে রিয়ালের সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি সেরেছেন এমবাপ্পে। আগামী জুনে তিনি মাদ্রিদের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। পিএসজিও তার বিচ্ছেদ মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে।
ফরাসি লিগে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রেঁনের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ এনরিকের কথাতেই তা স্পষ্ট। এমবাপ্পেকে পুরো ম্যাচে না খেলানোর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কিলিয়ানকে ছাড়া আমাদের অভ্যস্ত হয়ে উঠতে হবে। এখন কিংবা ভবিষ্যতে এমন কিছু হবেই। আমি ঠিক করব, কখন সে খেলবে বা খেলবে না। সব কোচই খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী মৌসুমের জন্য আমি দলকে সর্বোচ্চ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলতে চাই। আমি চাই, পিএসজির শুরুর একাদশের প্রত্যেক খেলোয়াড় ভাববে, এটা দারুণ একটা সুযোগ।’