যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব পিটার্সবার্গের গ্লোবাল স্টাডিজ সেন্টার, সেখানে মাস্টার্স করার জন্য ফেলোশিপ প্রদান করছে। এ ফেলোশিপের পোশাকি নাম ‘এইচজে হেইনজ ফেলোশিপ’। উন্নয়নশীল দেশগুলোর সম্ভাবনাময় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাস্টার্সে ফান্ডিংয়ের উদ্দেশ্যে এ ফেলোশিপ দেয়া হয়।
এটি এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর মেয়াদি ফেলোশিপ। যা শুরু হয় আগস্টে এবং শেষ পরের বছর জুনে। এ ফেলোশিপের অধীনে নির্বাচিত ফেলোকে প্রায় ২২ লাখ ২০ হাজার টাকা দেয়া হবে। তবে ফেলোশিপ চলাকালে কোনো ফেলো যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মতি ব্যতিরেকে ফেলোশিপ বাতিল করেন অথবা যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করেন, তাহলে ফেলোশিপের টাকা ফেরত দিতে হবে।
ফেলোশিপ যা যা পাওয়া যাবে-
লিভিং স্টাইপেন্ড: ২১ লাখ ১০ হাজার টাকা (১৯ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার, মাসিক ইনস্টলমেন্টে পাওয়া যাবে)
অ্যাকটিভিটি ফান্ড: ১ লাখ ১০ হাজার টাকা (১ হাজার মার্কিন ডলার)
বিশ্বব্যাংক দেবে ৫১ লাখ টাকার ফেলোশিপ
আবেদন করার যোগ্যতা-
আবেদনকারীদের অবশ্যই মাস্টার্স প্রোগ্রামে (যে শিক্ষাবর্ষের শুরুতে তারা হেইনজ ফেলোশিপ চান) ভর্তি হতে হবে।
মাস্টার্সের বিষয় হবে: পাবলিক হেলথ, আইন, পাবলিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স, শিক্ষা অথবা নার্সিং থেকে যেকোনো একটি।
আবেদনকারীকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি সম্পন্ন করতে হবে।
ইংরেজি বলা, পড়া ও লেখায় দক্ষ হতে হবে।
কর্মজীবনের প্রাথমিক বা মাঝামাঝি পর্যায়ে আছে এমন আবেদনকারীকে অগ্রাধিকার পাবেন।
বর্তমানে কর্মরত অথবা পলিসি ডোমেইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত, এমন ব্যক্তিবিশেষের জন্য এ ফেলোশিপ দেয়া হয়। মৌলিক একাডেমিক গবেষণা, একাডেমিক সাবাটিক্যাল বা চিকিৎসা গবেষণার জন্য এই ফেলোশিপ দেয়া হয় না।
আবেদনের সময়
মাস্টার্সে আবেদনের সময় এই ফেলোশিপের কথা উল্লেখ করতে হয়। তবে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের ক্ষেত্রে আবেদনের সময় ভিন্ন হতে পারে, শিক্ষার্থীকে নিজ বিষয়ের ব্যাপারে খোঁজ নিতে হবে।
ফেলোশিপের বিজয়ীর নাম প্রকাশ করা হয় মে মাসে।
ফেলোশিপ বছর শুরু হয় আগস্টের ১ তারিখ।
ফেলোশিপ বছর শেষ হয় জুনের ৩০ তারিখ।