ভারতে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এর মধ্যেই বিভিন্নভাবে সক্রিয়তা দেখাতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রাজনৈতিক কৌশলে টেক্কা দেয়া কঠিনই হবে বিরোধীদের জন্য। সেই কথার যেন বিভিন্ন প্রমাণও মিলছে তার সাম্প্রতিক নানা কর্মকাণ্ডে।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভারতের গুজরাট রাজ্যের উপকূল থেকে কিছুটা দূরে হিন্দুদের পবিত্র স্থান দ্বারকায় বিশেষ প্রার্থনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কৃষ্ণের পূজা দিতে আরব সাগরে অবস্থিত দ্বারকায় পানির নিচে ময়ূরের পালক নিয়ে ডুব দিয়েছেন তিনি।
মহাভারতসহ একাধিক হিন্দু ধর্মগ্রন্থে প্রাচীন শহর দ্বারকা’র উল্লেখ রয়েছে। হিন্দুদের একাংশের বিশ্বাস, দ্বারকার শাসক ছিলেন কৃষ্ণ। বহু শতাব্দী আগে, গুজরাট উপকূলের কাছে সাগরের নিচে ডুবে গিয়েছিল এই শহর।
সামাজিক মাধ্যমে মোদি লেখেন,
জলের নীচে নিমজ্জিত দ্বারকা শহরে প্রার্থনা করা এক ঐশ্বরিক অভিজ্ঞতা। যেন এক আধ্যাত্মিক মহিমায় ভরপুর ও ভক্তিময় এক প্রাচীন যুগে ফিরে গিয়েছিলাম। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আমাদের সবাইকে আশীর্বাদ করুন, এটাই কামনা করি।
তিনি আরও লেখেন,
সমুদ্রের গভীরে আমি দেবত্বকে অনুভব করেছি। কৃষ্ণের পায়ে একটি ময়ূরের পালক রেখে এসেছি। সবসময়ই জলের নিচে ডুবে থাকা এই শহরে যেতে চেয়েছি, দ্বারকার অবশিষ্টাংশকে দেখতে চেয়েছি। সেই আকাঙ্খা পূর্ণ হওয়ায় আজ আমি আবেগাপ্লুত।
এর আগে দ্বারকায় বেইত মন্দিরেও পুজা দেন নরেন্দ্র মোদি। বেইতের দ্বারকাধীশ মন্দিরে তাকে প্রার্থনা করতে দেখা যায়। মন্দির পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল।
এদিন দ্বারকায় ভারতের দীর্ঘতম তারের সেতু, সুদর্শন সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ওখার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে বেইত দ্বীপকে সংযুক্ত করছে এই সেতু, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ২ দশমিক ৩২ কিলোমিটার।
রোববার গুজরাটে আরও বেশকিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প, অপরিশোধিত তেল পাইপলাইন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, নতুন কার্ডিওলজি হাসপাতাল নির্মাণ ও রেললাইন সম্প্রসারণের মতো নানা প্রকল্প।