পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির নির্বাচন কমশিন। আগামী ৯ অথবা ১০ মার্চ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হতে পারে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডন।
পাকিস্তানের ১০০ আসনবিশিষ্ট সিনেটের প্রায় অর্ধেক সদস্যের ছয় বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই দিন আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটির পরিকল্পনা করছে পাকিস্তানের নির্বাচনের কমিশন।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, চার প্রাদেশিক পরিষদের সবকটি গঠিত হওয়ার পর বর্তমান সিনেটররাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবেন।
এদিকে, পিএমএল-এন নেতা শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে ছয় দলীয় জোট সরকার গঠন হতে যাচ্ছে পাকিস্তানে। তারা আগেই তাদের দল থেকে প্রেসিডেন্ট পদে আসিফ আলী জারদারির নাম ঘোষণা করেছেন। সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফের পদত্যাগের পর জারদারি ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
পাকিস্তানের সংবিধানের ৪১(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬০ দিনের বেশি সময় আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ করা যায় না। অথবা মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ভোটাভুটির জন্য ৩০ দিনের বেশি সময় পার করা যায় না।
পাকিস্তানের সিনেট নির্বিচন মার্চের শেষ সপ্তাহে বা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে হওয়ার কথা রয়েছে।