Homeআন্তর্জাতিকযুদ্ধের পরও গাজায় সেনা রাখতে চান নেতানিয়াহু

যুদ্ধের পরও গাজায় সেনা রাখতে চান নেতানিয়াহু

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় উপত্যকায় ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার কাছে এ পরিকল্পনা উত্থাপন করেন তিনি।

টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর প্রস্তাবে বলা হয়, যতদিন পর্যন্ত হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সামরিক সক্ষমতা নির্মূল করা, সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনাসহ অন্যান্য লক্ষ্য অর্জিত না হবে ততদিন গাজায় যুদ্ধ চলবে।

যুদ্ধ শেষে গাজা পরিচালিত হবে ‘স্থানীয় কর্মকর্তাদের’ দ্বারা। যাদের সঙ্গে কথিত সন্ত্রাসবাদ সমর্থনকারী দেশ ও গোষ্ঠীর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে (পিএ) এতে রাখা হবে কি না সে বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়নি এই পরিকল্পনায়।

এতে আরও বলা হয়, ইসরাইল ‘কথিত মৌলবাদ’ দূরীকরণে সব ধর্মীয়, শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে একটি পোগ্রাম পরিচালনা করবে। এতে যুক্ত থাকবে আরব দেশগুলো। গাজাকে সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্রীকরণ করা হবে। এমনকি নিরাপত্তার স্বার্থে যে পরিমাণ অস্ত্রের প্রয়োজন সেটিও রাখা হবে না। নিরস্ত্রীকরণ এবং মৌলবাদ দূরীকরণ প্রক্রিয়া শেষ হলেই শুধুমাত্র গাজা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করতে দেবে ইসরাইল।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে আরও বলা হয়, গাজায় যেন কোনো ধরনের সশস্ত্র গোষ্ঠীর উত্থান না হতে পারে সেজন্য যে কোনো সময় ইসরাইলি সেনাদের সেখানে হামলা চালানোর অধিকার থাকবে। গাজা অংশে নিরাপত্তা জোন তৈরি অব্যাহত থাকবে। যতদিন পর্যন্ত এ জোনের প্রয়োজনীয়তা থাকবে; ততদিন এটি থাকবে।

প্রস্তাবে বলা হয়, দখলকৃত পশ্চিম তীর থেকে যেন কোনো ধরনের হামলা না চালানো যায় সেজন্য জর্ডানের পশ্চিমাঞ্চলের স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রসহ পুরোটির নিয়ন্ত্রণ থাকবে ইসরাইলের হাতে।

তবে গাজা উপত্যকার ভবিষ্যৎ নিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী যে পরিকল্পনা সামনে এনেছেন, তা প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় সূত্রে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের দখলদারিত্ব অব্যাহত থাকবে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনাহ বলেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অংশ থাকবে গাজা। এর রাজধানী হবে জেরুজালেম। এছাড়া অন্য যেকোনো পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে। এর বাইরে ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনের যেকোনো ইসরাইলি প্রচেষ্টা বাস্তবে সফল হবে না।

আবু রুদেইনাহ আরও বলেন, এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা চাইলে ইসরাইলি হামলা বন্ধ করতে হবে এবং বিশ্বকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে হবে।

Exit mobile version