পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে এ সংক্রান্ত একটি পিটিশন জমা দেয় পিটিআই।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, পিটিশনে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে মোট ১৮০টি আসনে জয়ী হয়েছে পিটিআই। কিন্তু কারচুপি ও কারসাজির মাধ্যমে মাত্র ৯২টি আসনে পিটিআই প্রার্থীদের জয়ী দেখানো হয়েছে। দলটিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে এই ‘ডাকাতি’ করা হয়েছে বলে পিটিশনে অভিযোগ করা হয়।
আদালতে পিটিশন জমা দেয়ার তথ্যটি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা শের আফজাল মারওয়াত। তিনি জানান, পিটিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার নিয়োগকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোটে কারচুপি-জালিয়াতির অভিযোগ এনে নির্বাচন বাতিলের জন্যদেশটির সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন আলী খান নামে এক পাকিস্তানি। কিন্তু পরপর দুই দিন সুপ্রিম কোর্টেএ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হলেও, আবেদনকারী আলী খান সেখানে উপস্থিত হননি।
পরে আবেদনকারীর অনুপস্থিতির কারণে এই আবেদন খারিজ করে দেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা। একই সঙ্গে আলী খানকে ৫ লাখ রুপি জরিমানা করেন সর্বোচ্চ আদালত।
৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশিসংখ্যক আসনে জয় পেয়েছেন। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) অন্য কয়েকটি দল নিয়ে জোট সরকার গঠন করার ঘোষণা দিয়েছে।