ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি দানি আলভেসের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেয়েছে বার্সেলোনার আদালত। যৌন নিগ্রহের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৪০ বছর বয়সী আলভেসকে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রায় ঘোষণা করেন তিনজন বিচারকের প্যানেল।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার একটি নাইটক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ব্রাজিল ও বার্সেলোনার সাবেক এই খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ বার্সেলোনার তিনজন বিচারক নিয়ে গঠিত বিচারকের প্যানেলে প্রমাণিত হওয়ায় এই শাস্তি পেলেন তিনি। একই সঙ্গে ৪০ বছর বয়সী এই ফুটবলারকে কোর্টের মাধ্যমে নির্যাতিত নারীকে দেড় লাখ ইউরো ক্ষতিপূরণ দিতেও নির্দেষ দিয়েছেন এই বিচারক প্যানেল।
বার্সেলোনার আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ‘ভুক্তভোগী সম্মতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাদীর করা ধর্ষণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।’
ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে স্পেনের বার্সেলোনায় অবস্থান করার সময় ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর বার্সেলোনার একটি নাইটক্লাবের ভিআইপি বাথরুমে আলভেস তাকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন এক নারী। এরপর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতেই এই ব্রাজিলিয়ানকে আটক করে দেশটির পুলিশ। শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসা আলভেস বেশ কয়েকবার জামনের আবেদন জানালেও তাকে জামিন দিতে অস্বীকার করে আদালত। কারণ বিদেশের কোনো আদালতে অভিযুক্ত হলেও ব্রাজিল কখনও তার নাগরিককে সেই দেশের হাতে হস্তান্তর করে না।
এই রায়ের পর তা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন আলভেস। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগে আইনজীবীরা এবার ১২ বছরের কারদণ্ডের আবেদন করেছেন। এর আগে তারা ৯ বছরের কথা জানালেও এখন তারা মনে করছেন দণ্ড আরও বাড়ানো উচিত। সেই সঙ্গে দেড় লাখ ইউরোর ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয়েছিল ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে।
এদিকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া এই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি জেলেই আত্মহত্যা করতে পারেন বলেও সন্দেহ অনেকের। সে কারণে অ্যান্টি সুইসাইড প্রটোকল চালু করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম টিভি চ্যানেল ‘টেলেসিনকো’র অনুষ্ঠান ‘ফিয়েস্তা’কে এ কথা জানিয়েছেন কারাগারে আলভেজের সঙ্গে একই কক্ষে থাকা আরেক কয়েদি।