বাজে একটা প্রাক-মৌসুম কাটানোর পর এমএলএসে ইন্টার মায়ামির শুরুটা হলো দারুণ। মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই রিয়াল সল্টলেককে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি। গোল না পেলেও ম্যাচজুড়ে দারুণ খেলেছেন দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসি। একটি গোলে সহায়তাও করেন তিনি। সব মিলিয়ে মৌসুমের প্রথম ম্যাচে মেসির পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া।
গত বছর মেসি যখন পিএসজি ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে নাম লেখান, ততদিনে এলএমএসের মৌসুমের অর্ধেকের বেশিই পেরিয়ে গেছে। ইন্টার মায়ামিও অবস্থান করছিল পয়েন্ট তালিকার একদম তলানিতে। সেখান থেকে দলকে খুব বেশি কিছু এনে দেওয়ার সুযোগ পাননি মেসি। এরই মধ্যে অবশ্য এমএলএসের নবীন দলটিকে তাদের প্রথম শিরোপা এনে দেন এ আর্জেন্টাইন মহাতারকা। মেসির একক নৈপুণ্যে লিগস কাপ জেতে ইন্টার মায়ামি।
এবার অবশ্য মৌসুমের শুরু থেকেই খেলছেন মেসি। ইন্টার মায়ামির মৌসুমের প্রথম জয়েও মেসি যথারীতি সেরাটা ঢেলে দিয়েছেন। ম্যাচে গোল করা বাদ দিলে আর সবকিছুই করে দেখিয়েছেন তিনি। একবার তো কর্নার থেকেই বল প্রায় জালে জড়িয়ে দিয়েছেন। তার ট্রেডমার্ক ফ্রি-কিকেও গোল প্রায় হচ্ছিলই। শেষ মুহূর্তে হেড করে তা ক্লিয়ার করেন প্রতিপক্ষ দলের ডিফেন্ডার।
মাঠে মেসির ড্রিবলিং করার চেষ্টা ছিল দেখার মতো। ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা ড্রিবলার মনে করা হয় মেসিকে। ছোট্ট জায়গায় নানান কারিকুরি করে বল বের করে নিতে জুড়ি মেলা ভার তার। কখনও কখনও তো নাটমেগ করে ডিফেন্ডারদের ওহমেও আঘাত দেন। এদিন মেসি ঘটালেন অভিনব কাণ্ড। ড্রিবলিং করে বল এগিয়ে নেয়ার সময় প্রতিপক্ষের ইনজুরিগ্রস্ত এক খেলোয়াড়ের শরীরের ওপর দিয়ে বল চিপ করেছেন ৩৬ বছর বয়সী মেসি।
আক্রমণে উঠা ইন্টার মায়ামির এক খেলোয়াড় নিজেদের অর্ধ থেকে লম্বা করে বল বাড়িয়েছিলেন রব টেইলরকে লক্ষ্য করে । তবে বলটির কাছে পৌঁছাতে পারেননি টেইলর। তাকে বাধা দেয়া ডিফেন্ডার এ সময় মাটিতে পড়ে যান, আর গোলরক্ষক এগিয়ে এসে বল ক্লিয়ার করেন। মাটিতে পড়ে যাওয়া রিয়াল সল্ট লেকের সেই খেলোয়াড় চোট পেয়ে কাতরাচ্ছিলেন; কিন্তু বল পেয়ে মেসি থেমে যাননি। বরং ড্রিবলিং করে এগিয়ে যাওয়ার সময় মাটিতে পড়ে থাকা খেলোয়াড়টির গায়ের ওপর দিয়েই বল চিপ করেন। এরপর এগিয়ে গোলে শট করলেও তা এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হন।
এ ঘটনায় অনেকেই মেসির বুদ্ধিমত্তা ও কৌশলের প্রশংসা করলেও অনেকেই সমালোচনাও করছেন। তাদের যুক্তি, একজন চোটগ্রস্ত খেলোয়াড়ের গায়ের ওপর দিয়ে এভাবে বল নেয়ার চেষ্টা করাটা তার জন্য অপমানজনক। সাধারণত এমন অবস্থায় আক্রমণকারী পক্ষ খেলা থামিয়ে দিয়ে থাকে। কিন্তু মেসি খেলা তো থামাননিই, উল্টো চোট পেয়ে কাতরাতে থাকা খেলোয়াড়ের গায়ের ওপর দিয়ে বল ড্রিবলিং করে নিয়েছেন।
ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত সহজেই জিতেছে ইন্টার মায়ামি। রব টেইলর ও ডিয়েগো গোমেজ গোল করেন।