Homeআন্তর্জাতিকতুরস্ক প্রথমবার নিজেদের তৈরি যুদ্ধ বিমান উড়াল

তুরস্ক প্রথমবার নিজেদের তৈরি যুদ্ধ বিমান উড়াল

প্রথমবারের মতো নিজেদের তৈরি যুদ্ধ বিমানের পরীক্ষামূলক সফল উড্ডয়ন করেছে তুরস্ক। তুর্কি অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের (টিএআই) ডিজাইন করা এবং নির্মিত বিমানটির নাম কান বা খান।

টিএআই প্রধান টেমেল কোটিল এক্স বার্তায় জানিয়েছেন, বুধবার কান ১৩ মিনিট আকাশে ছিলো। এই সময় এটি ৮ হাজার ফুট উচ্চতায় ২৩০ নট গতিতে উড়ে।

কানের সফল উড্ডয়নের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান বলেন, নিজস্ব প্রযুক্তির ফাইটার জেট তৈরির ক্ষেত্রে তুরস্ক আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় অতিক্রম করলো।

এক্স পোস্টে তিনি বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে জাতিকে আমরা প্রতিরক্ষা শিল্প নিয়ে নতুন সুসংবাদ দিতে থাকবো।’

কান-এর মাধ্যমে তুরস্ক যুদ্ধ বিমান তৈরিতে সক্ষম হাতেগোনা কয়েকটি দেশের মধ্যে প্রবেশ করছে। এটির লক্ষ্য তুর্কি বিমান বহরকে পুনরুজ্জীবিত করা।

কান তৈরির প্রকল্প শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। ২০২৩ এ এই জেটটি রানওয়েতে পরীক্ষামূলক চলানো হয়।
২১ মিটার দৈর্ঘ্যে বিমানটিতে দুইটি ইঞ্জিন। এটি সর্বোচ্চ ম্যাক ১.৮ গতিতে ছুটতে পারবে। ম্যাক হলো শব্দের গতি পরিমাপের একক। অর্থাৎ এই যুদ্ধ বিমানের গতি শব্দের চেয়ে বেশি।

পরবর্তী প্রজন্মের এই ফাইটার জেটটি ২০২৮ সালে তুর্কি বিমানবহরে যুক্ত হবে বলে আশা করছে দেশটির টিআইএ। এটি তুর্কি বাহিনীতে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের জায়গা নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রতিরক্ষা শিল্পে উন্নতি করছে তুরস্ক

গত দশকের গোড়ার দিকে তুর্কি সরকার নিজেদের প্রতিরক্ষা খাতে বিশেষ মনোযোগ দেয়। এর ফলে বর্তমানে তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম অস্ত্র নির্মাতা দেশে পরিণত হয়েছে। তারা এখন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অস্ত্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি করছে।

দেশটির কোম্পানিগুলোর তৈরি সামরিক সরঞ্জাম যেমন রাইফেল, সাঁজোয়া যান, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং উন্নত সশস্ত্র ড্রোন তৈরি করছে, যা বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। তাদের বায়রাতকার টিবি-২ ড্রোন এরই মধ্যে নাগারনো কারাবাখ, লিবিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের নিজের সক্ষমতা দেখিয়েছে।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প জাতীয় অর্থনীতিতেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। এই খাতের রপ্তানি এই বছর রেকর্ড ৫.৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে যাচ্ছে; যা আগের বছরের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি।

সর্বশেষ খবর