যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদনকারীদের দুঃসংবাদ দিয়েছে দেশটির থিংকট্যাংক দ্য ক্যাটো ইনস্টিটিউট। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন-ভিত্তিক সংস্থাটি।
ক্যাটো ইনস্টিটিউটের শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে মাত্র তিন শতাংশ আবেদনকারীকে গ্রিন কার্ড (আবাসন) দেয়া হবে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীদের জন্য গ্রিন কার্ড গুরুত্বপূর্ণ। স্থায়ীভাবে বসবাস এবং যেকোনো প্রতিষ্ঠানের বৈধ কর্মী হওয়ার জন্য গ্রিন কার্ড অপরিহার্য। আগে এক কার্ডে হয়ে গেলেও, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ও কর্মসংস্থানের জন্য আলাদা কার্ডের প্রয়োজন পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী ও অভিবাসন-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ক্যাটো ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, মন্ত্রণালয়ে আবাসন বাবদ গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন সংখ্যা বর্তমানে পৌঁছেছে প্রায় ৩ কোটি ৪৭ লাখে। আর কর্মসংস্থানের জন্য গ্রিন কার্ডের আবেদন জমেছে ১৮ লাখ।
এই আবেদনকারীদের মধ্যে বৈধ আবাসনের জন্য ৩ শতাংশ এবং কর্মসংস্থানের জন্য ৮ শতাংশ আবেদনকারীর আবেদন মঞ্জুর করা হবে বলে শ্বেতপত্রে উল্লেখ করেছে ক্যাটো ইনস্টিটিউট।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রিন কার্ডের আবেদনে জটের মূল কারণ অভিবাসন ইস্যুতে মার্কিন সরকারের কঠোর নীতি। ১৯৯০ সালের পর থেকে গ্রিন কার্ড ইস্যুর হার সীমিত রাখার নীতি মেনে চলছে দেশটি।
ক্যাটো ইনস্টিটিউটের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর আবাসন এবং কর্মসংস্থান বাবদ মোট ১ লাখ ৪০ হাজার অভিবাসীকে গ্রিন কার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন অভিবাসী ও অভিবাসন মন্ত্রণালয়।