সরকার গঠনের জন্য নতুন প্রচেষ্টা শুরু করেছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এবার দেশটির ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
জাতীয় পরিষেদের সংরক্ষিত আসনের জন্য এসআইসির সঙ্গে এই জোট গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে পিটিআইয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, পিটিআই স্বতন্ত্র সদস্যরা হলফনামা জমা দেয়ার পর এসআইসিতে যোগ দেবেন।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ইসলামাবাদে সংবাদ সম্মেলনে পিটিআইয়ের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ওমর আইয়ুব বলেন, গত কয়েক মাস ধরেই পিটিআইয়ের কর্মীদের আটক করা হচ্ছে। এখনো আমাদের নেতা-কর্মীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চাপ দেয়া হচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এটি করতে পারে না।
এ সময় তিনি আরও বলেন, পিটিআই কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রদেশে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
এর আগে দেশটির আরেক রাজনৈতিক দল মজলিস ওয়াহদাত-ই-মুসলিমিনের (এমডব্লিউএম) সঙ্গে কেন্দ্রে এবং পাঞ্জাব প্রদেশে জোট গঠন করার ঘোষণা দিয়েছিল পিটিআই। কিন্তু এই ঘোষণার পর দলের কিছু সদস্য এমডব্লিউএমের সাঙ্গে জোট গড়ার বিরোধিতা করেন।
পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক রওফ হাসান বলেন, ‘ইমরান খান দুই দলের সঙ্গে জোটের অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে এমডব্লিউএমের সঙ্গে জোট গঠন করব এবং সংরক্ষিত আসনের জন্য খাইবার পাখতুনখোয়ায় জামায়াতে-ই-ইসলামির (জেআই) সঙ্গে জোট গড়ব।’
তবে রোববার পিটিআইয়ের একাধিক সূত্র বলেছে, তারা কেন্দ্র এবং পাঞ্জাবে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এসআইসির প্রেসিডেন্ট হামিদ রাজা পিটিআইয়ের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন। তিনিও গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে সাক্ষাতও করেছেন তিনি।
নির্বাচনের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো জোট সরকার গঠনে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি পিএমএল-এন এবং পিপিপি। প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ২৯ ফেব্রুয়ারির আগে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করবেন বলে জানা গেছে।
পার্লামেন্ট পরবর্তীতে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে। জোট সরকারে না থাকলেও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বাবা আসিফ আলী জারদারির নাম মনোনীত করেছেন পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো।