অসমবয়সে বিয়ের জন্য আলোচিত-সমালোচিত ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে তির্যক ভাষায় সমালোচনা করেছেন তার স্ত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তার (মুশতাক) আমার বমি আসে, খাওয়ার রুচিও থাকে না। তার নাম শুনলে আমার অজুও নষ্ট হয়ে যায়।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে যান সাইফুল ইসলাম। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ দেন যে, অজ্ঞাত পরিচয়ে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তার মেয়েকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।
ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিশার বাবা বলেন, ‘আপনারা আকাশের তারা গুনতে পারবেন কিন্তু তার (মুশতাক) বিয়ের সংখ্যা গণনা করতে পারবেন না। বিয়ের সংখ্যা সে কাউকে বলছে ছয়টা, কাউকে বলছে আটটা। বিজয়নগরে যে কাজী অফিসটা আছে সেখানকার একজন আমাকে বললেন যে, ২০০০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তাদের যে রেজিস্ট্রি বই আছে সেটা চেক করলে কমপক্ষে সাত থেকে আটটি বিয়ের তথ্য পাবেন।’
‘তার যৌন নির্যাতন থেকে শিশু কিংবা বৃদ্ধ কেউ রক্ষা পেয়েছে বলে আমার মনে হয় না। তার পা থেকে মাথার চুল পর্যন্ত অপকর্মে ভরা। তার প্রতিটি রক্তবিন্দু এবং টাকার সঙ্গে মানুষের চোখের পানি মিশে আছে,’ বলেন সাইফুল ইসলাম।
একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বরাতে তিনি বলেন, বহু ছাত্রীকে মুশতাক যৌন হয়রানি করেছে এবং সে চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত।
সাইফুল ইসলামের অভিযোগ, মুশতাকের মেয়ে যখন ভিখারুন্নেসায় পড়তো, ওই সময় সেই মেয়ের বান্ধবীকে বিয়ে করেছিল। তিন মাস পাশবিক নির্যাতন করার পর তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়।
‘তার বিয়ের সিস্টেম হলো- কাবিননামার সঙ্গে ডিভোর্সানামা ঢোকানো থাকে। একসঙ্গেই সই হয়ে যায়। দ্বিতীয়বার মেয়েকে বলতে হবে না যে, তুমি আমাকে ডিভোর্স দাও,’ যোগ করেন তিনি।
এদিকে মুশতাক আহমেদ ও তার স্ত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে অসম বিয়ে এবং বিয়ের আগের অসামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে তৈরি করা কনটেন্ট/ভিডিও সরিয়ে নিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জাকির হোসাইনের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. তানভীরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান। তিশা ওই প্রতিষ্ঠানটির একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।