প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোর দিয়ে বলেছেন, গাজায় এখন যা ঘটছে তা গণহত্যা। ফিলিস্তিনি জনগণের বেঁচে থাকার এবং তাদের নিজস্ব রাষ্ট্রের অধিকার রয়েছে।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জার্মানিতে ৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,
ফিলিস্তিনি জনগণ নিজস্ব রাষ্ট্র পাওয়ার অধিকার রাখে। ১৯৬৭ সালের জাতিসংঘের দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের জন্য একটি রাষ্ট্র গঠন করা প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এরই মধ্যে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য কিছু সহায়তা পাঠিয়েছে। আমি বিশ্বের সবাইকে ফিলিস্তিনের শিশু, নারী ও সাধারণ জনগণকে সহায়তা করার আহ্বান জানাই।’
দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে ইসরাইলের স্থল অভিযানের পরিকল্পনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কখনোই এ ধরনের হামলাকে সমর্থন করিনি।
এর আগে জার্মানির মিউনিখে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বলেন, আমরা সব ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আজ জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় তিনি বারবার আলোচনা করেছেন যে, কীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করা যায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, গাজায় নিরপরাধ নারী-পুরুষের ওপর হামলা কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়েও তারা আলোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে, যুদ্ধ কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। শেখ হাসিনা বলেছেন, অন্যরা যুদ্ধের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে। কিন্তু যুদ্ধ যুদ্ধে জড়িত দেশগুলোর জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না এবং তাদের জনগণকে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়।