লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করা এক ব্যক্তি টিকিট বা পাসপোর্ট ছাড়াই গন্তব্যে পৌঁছেছেন! এই চাঞ্চল্যকরা ঘটনার পর বিশেষজ্ঞরা হিথ্রো বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার তীব্র সমালোচনা করেছেন।
এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, এই ঘটনা নিয়ে হিথ্রো বিমানবন্দরের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর ৪৬ বছর বয়সী ক্রেইগ স্টুয়ার্ট হিথ্রোর টার্মিনাল ফাইভে পাসপোর্ট চেক না করিয়েই একটি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমানে উঠে পড়েন। তার সঙ্গে কোনো টিকিটও ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে যাওয়ার পর ক্রেইগকে মার্কিন সুরক্ষা কর্মকর্তারা আটক করেন। তারা খুঁজে দেখেন তার কোনো ডকুমেন্টেশন নেই যার কারণে তাকে একটি চার্টার ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যে ফেরত পাঠানো হয়। হিথ্রো পৌঁছানোর পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মেট পুলিশ দ্য টেলিগ্রাফকে জানিয়েছে, বিমান চলাচল সুরক্ষা আইনের আওতায় ক্রেইগের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। তবে জানুয়ারিতে আক্সব্রিজ ম্যাজিস্ট্রেটস আদালতে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিত না হওয়ায় ক্রেইগ স্টুয়ার্টের নামে ওয়ারেন্ট জারি হয়।
আগেও কোনো ডকুমেন্টস ছাড়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে চড়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের নভেম্বরে রাশিয়া ও ইসরাইলের দ্বৈত নাগরিক সের্গেই ভ্লাদিমিরোভিচ ওচিগাভা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান টিকিট ও পাসপোর্ট ছাড়াই কোপেনহেগেন থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস ভ্রমণ করেছেন।
৯/১১ এর পর হিথ্রো বিমানবন্দরে অনেক কড়াকড়ি হয় সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। এছাড়া যুক্তরাজ্যের একটি বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে চড়ার জন্য অন্তত পাঁচটি নিরাপত্তা স্তর অতিক্রম করতে হয়। তাই এই ঘটনা হিথ্রো বিমানবন্দর এবং বর্ডার ফোর্সের জন্য মারাত্মক বিব্রতকর বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।