রাশিয়ায় কারাবন্দি অবস্থায় মারা যাওয়া বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির মৃত্যুর ‘অবিলম্বে তদন্ত’ দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে এ ঘটনায় রুশ সরকারকে দায়ী করে রুশ দূতাবাসের কূটনীতিকদের তলব করেছে যুক্তরাজ্য।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, নাভালনির মৃত্যুর খবর শোনার পরপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র তদন্ত দাবি করেছেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে এয়ারফোর্স ওয়ানে চেপে আকাশপথে ভ্রমণ করছিলেন ওই মুখপাত্র।
আর নাভালনির মৃত্যুতে মোটেও আশ্চর্য নন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মৃত্যুর জন্য পুতিনকে দায়ী করে কারাগারে হত্যার অভিযোগ করেছেন তিনি। নাভালনি অত্যন্ত সাহসী নেতা ছিলেন বলেও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে নাভালনির মৃত্যুর ঘটনায় রুশ সরকারকে দায়ী করেছে যুক্তরাজ্য। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এ ঘটনায় যুক্তরাজ্যে রুশ দূতাবাসের কূটনীতিকদের তলব করা হয়েছে। রুশ কর্তৃপক্ষের পূর্ণাঙ্গ দায়ভারের বিষয়টি তাদের জানিয়ে দেয়া হবে।
বিশ্বজুড়ে নানা সমালোচনার মধ্যেই নাভালনির মৃত্যুর সত্যতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তার স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া। আর সত্যিই মারা গেলে পুতিনকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। জার্মানির মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে বক্তৃতা দেয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রুশ কারা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম নাভালনির মৃত্যুর সংবাদ জানায়।
এক বিবৃতিতে ইয়ামালো-নেনেটস জেলার কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার হাঁটার পরে হঠাৎ নাভালনি অসুস্থ বোধ করেন। অসুস্থ বোধ করার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এমন অবস্থায় তাৎক্ষণিক জরুরি মেডিকেল টিমকে ডাকা হয়। তারা এসে চেষ্টা করলেও নাভালনিকে বাঁচাতে পারেননি।
২০২১ সাল থেকে কারাবন্দি ছিলেন পুতিনের কট্টর সমালোচক অ্যালেক্সি নাভালনি। ক্রেমলিন বিরোধী উগ্রপন্থা উসকে দেয়া, তাদের অর্থায়ন এবং নির্বাচনে জালিয়াতির কথিত অভিযোগে ভোগ করছিলেন ত্রিশ বছরের বেশি কারাদণ্ড। যদিও এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত আখ্যা দিয়ে অস্বীকার করেন এ নেতা।