চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনার জেরে ভারতীয়রা এখন মালদ্বীপবিমুখ। নিজ দেশের প্রধানমন্ত্রীকে অপমানের জবাব দিতে মালদ্বীপকে বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু ভারতীয়দের বয়কটের মধ্যেই, গত বছরের তুলনায় মালদ্বীপে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে ১৬ শতাংশ।
বিশ্ব গণমাধ্যমের কেন্দ্রে থাকা মালদ্বীপ, পর্যটকদের পদচারণায় রেকর্ড সৃষ্টি করেছে বছরের শুরুতেই। দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের এখন পর্যন্ত মালদ্বীপে আসা পর্যটকের সংখ্যা ১৬ শতাংশ বেড়েছে।
গত তিন দশকে ‘মৎস্যজীবী’ পরিচয় ছাড়িয়ে বিশ্বে পর্যটকদের অন্যতম সেরা গন্তব্যস্থল দখল করে নিয়েছে মালদ্বীপ। পর্যটকদের মূল আকর্ষণ দেশটির ‘এক দ্বীপ-এক রিসোর্ট’ নীতিতে পরিচালিত রিসোর্ট বা আইল্যান্ডগুলো।
নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝেও এই দ্বীপ রাষ্ট্রের পর্যটন খাত সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে চলতি বছরের শুরুতেই, জমে উঠেছে পর্যটন।
মালদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ১ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭ জন পর্যটককে স্বাগত জানিয়েছে মালদ্বীপ। যা গত বছরের একই সময়ে দেশটিতে ভ্রমণ করা ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৬৪ জন পর্যটকের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি।
এখন পর্যন্ত মালদ্বীপে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন চীন থেকে, ৩৯ হাজার ২০৫ জন। যা দেশটিতে আসা মোট পর্যটকের ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ। এরপরই রয়েছে রাশিয়ার ২৮ হাজার ১৬৩ জন পর্যটক। তালিকায় রাশিয়ার পরই আছে ইতালি ও যুক্তরাজ্য।
গত বছর মালদ্বীপে সবচেয়ে বেশি পর্যটক এসেছিল ভারত থেকে। কিন্তু চলতি বছরে মালদ্বীপকে বয়কটের ডাক দেয়া ভারতের অবস্থান এবার পঞ্চম। এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ৫৩৫ জন ভারতীয় নাগরিক মালদ্বীপ ভ্রমণ করেছেন বলে জানা গেছে।
মালদ্বীপে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬ হাজার ৩৯৮ জন পর্যটক আসেন এবং গড়ে ৮ দিন অবস্থান করেন। চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭ জন পর্যটক আসায়, ভেঙেছে অতীতের সব রেকর্ড।
মালদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রণালয় বলছে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দৈনিক ভিত্তিতে মালদ্বীপে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১০ হাজার পর্যটক এসেছে গত ১১ ফেব্রুয়ারি। এর পরপরই দেশটির পর্যটনমন্ত্রী ইব্রাহিম ফয়সাল এক্সে দেয়া এক পোস্টে মালদ্বীপের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।