Homeসর্বশেষ সংবাদচোখে-মুখে সুপারগ্লু দিয়ে ধর্ষণ: কথা বলতে পারছেন না ভুক্তভোগী

চোখে-মুখে সুপারগ্লু দিয়ে ধর্ষণ: কথা বলতে পারছেন না ভুক্তভোগী

খুলনার পাইকগাছায় গভীর রাতে ঘরে ঢুকে চোখে-মুখে সুপার গ্লু দিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ জ্ঞান থাকলেও কথা বলতে পারছেন না।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, ওই নারীর চোখ ও মুখের আঠা অপসারণ করা হলেও শারীরিকভাবে দুর্বল থাকায় তিনি কথা বলতে পারছেন না।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার গভীর রাতে কে বা কারা মই দিয়ে ছাদে উঠে সিঁড়ির দরজা শাবল দিয়ে ভেঙে গৃহবধূর শোবার ঘরে ঢোকেন। ওই গৃহবধূর স্বামী ব্যবসার কাজে বাইরে থাকায় তিনি একাই বাড়িতে ছিলেন। দুর্বৃত্তরা ওই গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে চোখে সুপার গ্লু ও মুখে টেপ লাগিয়ে রেখে গণধর্ষণ এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন। এ সময় তারা ওই গৃহবধূর কানের স্বর্ণের দুল নিয়ে যায়।

আগে কখনো চোখে ও মুখে এভাবে আঠা লাগানো অবস্থায় কোনো রোগী দেখেননি জানিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ইউনিট-২-এর সহকারী রেজিস্ট্রার চিকিৎসক ডা. মো. কনক হোসেন বলেন, হাসপাতালে যখন আনা হয়, তখন ওই রোগীর চোখের পাতা ও দুই ঠোঁট আঠা দিয়ে লাগানো ছিল। রোগীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঁচড়ের দাগ ও ছোট ছোট আঘাতের চিহ্ন ছিল। অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে আঠা অপসারণ করা হয়। এরপর রোগীকে পাঠানো হয় চক্ষু ওয়ার্ডে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ ছিল, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাই চক্ষু ওয়ার্ড থেকে তাকে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়।

ওই নারীর ছেলে বলেন, মায়ের জ্ঞান থাকলেও তিনি কথা বলতে পারছেন না। কিছু বলতে গেলে ইশারা করছেন। এদিকে এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি এবং পুলিশ কাউকে গ্রেফতারও করতে পারেনি।

গৃহবধূর স্বামী জানান, তার স্ত্রী কথা বলতে না পারায় প্রকৃত ঘটনা কী হয়েছিল, তা বুঝতে পারছেন না তারা। এই মুহূর্তে তারা কাউকে সন্দেহও করতে পারছেন না। তবে পরিকল্পিতভাবে একাধিক লোক বাড়িতে প্রবেশ করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি জানিয়ে খুলনার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপারটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

Exit mobile version