পাকিস্তানে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার মুখে দলীয় প্রধানের পদ ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। একের পর এক নেতা রাজনীতি ও দলীয় প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিচ্ছেন। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেশটির অন্তত তিনটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের পদের পাশাপাশি রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিন নেতা।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দলের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টির (আইপিপি) প্রধান পৃষ্ঠপোষক জাহাঙ্গীর তারিন। তিনি আর রাজনীতি করবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। দেশের সবচেয়ে ধনী শিল্পপতিদের একজন তারিন ২০১১ সালে পিটিআইতে যোগ দেন এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক হন। পিটিআইয়ের ২০১৮ সালের নির্বাচনী সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।
তারিন পিটিআই নেতা ইমরান খানের নিকটতম সহযোগীদের অন্যতম ছিলেন। ২০২৩ সালে ইমরান খানের দল থেকে বেরিয়ে যান তিনি। পরে ওই বছরের জুনে নিজের রাজনৈতিক দল আইপিপি গঠন করেন তিনি। গত বছরের ৯ মের সহিংসতার পর পিটিআই থেকে সরে আসা অনেক রাজনীতিবিদ আইপিপিতে যোগ দেন।
এদিকে, নির্বাচনে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল না পাওয়ায় দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দল জামায়াত-ই-ইসলামির নেতা সিরাজুল হক। এবারের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে একটি আসনেও জয় পায়নি দলটির প্রার্থীরা। তবে প্রাদেশিক পরিষদের পাঁচটি আসনে জয় পেয়েছে জামায়াত।
পাকিস্তানের আরেক রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্লামেন্টারিয়ানসের প্রধান পারভেজ খাত্তাকও রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একইসঙ্গে দলের নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার জন্য পিটিআই-পি’র কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের পর পাকিস্তানে সরকার গঠন করা নিয়ে ব্যাপক রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় দেশটিতে জোট সরকার গঠনে দলগুলোর মধ্যে চলছে ব্যাপক দর কষাকষি