মিয়ানমারে প্রাপ্তবয়স্ক সব নারী-পুরুষদের সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করেছে জান্তা সরকার। জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর কাছে একের পর এক যুদ্ধে পরাজয়ের মুখে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমার জান্তা এ ঘোষণা দিয়েছে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। ঘোষণায় বলা হয়, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সব পুরুষ এবং ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী নারীদের অবশ্যই দুই বছর পর্যন্ত সামরিক পরিষেবা দিতে হবে। এছাড়া, অনূর্ধ্ব ৪৫ বছর বয়সী বিশেষজ্ঞ যেমন-চিকিৎসকদেরও অবশ্যই তিন বছর সামরিক পরিষেবা দিতে হবে।
চলমান জরুরি অবস্থায় পরিষেবাটি পাঁচ বছর বাড়ানো যেতে পারে বলেও জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। যারা এই আদেশ উপেক্ষা করবে, তাদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে এ আইনে।
জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, জাতিকে রক্ষা করার দায়িত্ব সৈন্যদের ছাড়িয়ে সব নাগরিকের জন্যই প্রসারিত করা হয়েছে। তাই আমি গর্বিতভাবে জনগণকে সামরিক পরিষেবা আইন অনুসরণ করার কথা বলতে চাই।
২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলা চলছে। গত অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের জাতিগত তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জোট সমন্বিতভাবে অভিযান শুরুর পর দেশটির সেনাবাহিনী চাপে পড়েছে। হামলায় সেনাসদস্যদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। বিদ্রোহীদের পাশাপাশি গণতন্ত্রপন্থি যোদ্ধারাও জান্তার বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে।
১৯৬২ সালে প্রথমবার মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকে এটিকেই দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে।