দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে শেষ পর্যন্ত সমালোচকরা প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেনি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খুনি-যুদ্ধাপরাধীদের দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে বার বার প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। কিন্তু জনগণই আমাদের মূল শক্তি। তাই অনেক ঘাত-প্রতিঘাত, চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে জনগণের ভোটে সরকার গঠন করেতে পেরেছি।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোটের আগে স্যাংশনের ভয় দেখানো হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেনি। আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন চাইনি বলেই সার্চ কমিটি গঠন করে নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের ব্যবস্থা করি। যে সাহস শুধু দল হিসেবে আওয়ামী লীগেরই আছে।’
এবারের নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,
নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রজাতন্ত্রের সবাই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। তবুও যারা বলছেন, অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। তাদেরকে সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে, কোথায় সমস্যা হয়েছে।
বিএনপি এবারও নির্বাচনের বাইরেই থাকলো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দলটি অনির্বাচিত সরকার চায়। নির্বাচনকে কলুষিত করা শুরু হয় জিয়াউর রহমানের সময় থেকেই। এবার চক্রান্ত ছিল জাতীয় নির্বাচনটা যাতে না হয়।
তিনি বলেন, ’৭৬ থেকে ’৯৬ পর্যন্ত দেশ কোনো খাতেই এগোতে পারেনি। ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ কোনো ভেসে আসা রাজনৈতিক দল নয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,
আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে বিএনপি বিদেশি কিছু প্রভুদের কথা শুনে লম্ফঝম্ফ করে। এখনো করে যাচ্ছে। করতে থাকুক।
সরকারপ্রধান বলেন, টানা চার মেয়াদে জনগণের মন জয় করে ক্ষমতায় থাকা সহজ কোনো কাজ নয়। মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি বলেই সম্ভব হচ্ছে। কারণ উন্নয়ন হয়েছে তৃণমূল পর্যন্ত।