পাসপোর্ট হাতে পাওয়া মানে যেন চোখজুড়ে বিশ্ব ঘুরে দেখার এক সুবর্ণ সুযোগ। পাসপোর্টের মধ্যেও আছে শ্রেণিবিভাগ; যার ওপর নির্ভর করে সুযোগ-সুবিধা। বিশ্বে এমন বিরল পাসপোর্ট রয়েছে যার অধিকারী মাত্র ৫০০ জন।
এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
পাসপোর্টের মাধ্যমেই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, কূটনৈতিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক আঞ্চলিক চুক্তির মতো বিষয়গুলো প্রকাশ পায়। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের মধ্যে অন্যতম হলো জাপানের পাসপোর্ট। দেশটির পাসপোর্টধারীরা ১৯৩টি দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশের সুবিধা পেয়ে থাকেন।
তবে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্লভ পাসপোর্ট হলো মাল্টার সার্বভৌম সামরিক আদেশের পাসপোর্ট। দেশটি জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক মর্যাদা এবং সংবিধানসহ সার্বভৌম জাতি হিসেবে স্বীকৃত। মাল্টার গাড়ির লাইসেন্স, মুদ্রা, পাসপোর্টসহ সবই অনন্যা বৈশিষ্টের।
১৩০০-এর দশকে অর্ডার অব মাল্টা বিদেশি মিশনে আসা কূটনীতিকদের প্রাথমিক পাসপোর্ট ইস্যুকারী দেশ ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এ কূটনৈতিক পাসপোর্ট বিবর্তিত হয়। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০০ কূটননৈতিক পাসপোর্ট রয়েছে। এ ধরনের পাসপোর্ট অস্তিত্বের প্রতীক এবং বিরলতম পাসপোর্ট হিসেবে পরিচিত। লাল রঙের এ পাসপোর্ট সার্বভৌম কাউন্সিলের সদস্য, কূটনৈতিক মিশনের নেতা ও তাদের পরিবারের জন্য একচেটিয়াভাবে সংরক্ষিত।
দেশটির এক কর্মকর্তা জানান, কূটনৈতিক এ পাসপোর্ট শেনজেন সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশ দ্বারা স্বীকৃত। আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও এ আদেশ ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
বর্তমানে মাল্টার সার্বভৌম আদেশ ১২০টি দেশে সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত রয়েছে। চিকিৎসা, সামাজিক এবং মানবিক উদ্যোগের মাধ্যমে মাল্টা এসব দেশের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক প্রসারিত করেছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং নিউজিল্যান্ডসহ বেশ কিছু দেশে এ পাসপোর্টের স্বীকৃতি মেলেনি। তবে বিশ্বের ১২টি দেশে এ পাসপোর্টের স্বীকৃতি রয়েছে। এর বাইরেও সার্বভৌম সত্ত্বা হিসেবে এ পাসপোর্টকে বিবেচনা করা হয়।