পাকিস্তানের সদ্যসমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে অযাচিত ‘বিধিনিষেধ’ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে নির্বাচনে অনিয়মের যেসব অভিযোগ সামনে এসেছে, তা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর।
এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে তারা একমত যে, পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে বাক স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণভাবে সমবেত হওয়ার অধিকার অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ব্যাহত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর আক্রমণসহ নির্বাচনে সহিংসতা, মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের ওপর বিধিনিষেধ, ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগের ওপর বিধিনিষেধের নিন্দা জানান। এছাড়া নির্বাচনে হস্তক্ষেপ বা জালিয়াতির অভিযোগ সার্বিকভাবে তদন্ত করে দেখার আহ্বান জানান তিনি।
মিলার বলেন,
আমরা প্রত্যাশা করছি, পাকিস্তানের জনগণের মতামত সম্বলিত পূর্ণ ফলাফল সময়মত প্রকাশ করা হবে। তবে পরবর্তী সরকার যারাই গঠন করবে তাদের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে পাকিস্তানের ভোটের ফলাফল নিয়ে এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে, নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) ছিল না। সেই সঙ্গে সমাবেশের স্বাধীনতা ও বাক্স্বাধীনতার ঘাটতি দেখা গেছে। ইন্টারনেট ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতার কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে ইইউ।
পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে কারাগারে থাকা ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) মধ্যে।
তবে আইনি প্রতিবন্ধকতার কারণে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ভোটের ফলে দুই দলই নিজেদের বিজয়ী দাবি করেছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৬৬টি আসনের মধ্যে ২৫০টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এরমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯৯টি আসন। এরমধ্যে অধিকাংশই পিটিআই সমর্থিত। আর নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ-এন (পিএমএলএন) জয় পেয়েছে ৭১টি আসনে। বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৩টি আসন।