পাকিস্তানজুড়ে খবর ছড়িয়েছে, নির্বাচন বর্জন করছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। তবে পিটিআই জানিয়েছে, খবরটি সত্য নয়, তারা নির্বাচনী লড়াইয়ে আছে।
পাকিস্তান-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করা হয়। পোস্টে বলা হয়, নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলো পিটিআইয়ের নির্বাচন বর্জন নিয়ে ভুয়া খবর প্রচার করছে। সেই সঙ্গে ভুয়া অডিও রেকর্ডও ভাইরাল করা হচ্ছে।
ওই পোস্টে আরও বলা হয়, অবৈধভাবে বন্দি করে রাখা ইমরান খানের নেতৃত্বে পরিচালিত পাকিস্তানের সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে জনপ্রিয় ও একমাত্র কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক দল পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে দেশের অবৈধ শাসনকাঠামো ফ্যাসিবাদী আচরণ, নেতিবাচক প্রচার ও নির্বাচনপূর্ববর্তী নজিরবিহীন কারচুপি করে চলেছে। অবৈধ শাসন কাঠামোর এসব আচরণ রুখে দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পিটিআই।
পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো-সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইমরান খানের অনুপস্থিতি। একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ইমরান কারাগারে বন্দি আছেন। আর এসব মামলার কারণে তাকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কেড়ে নেয়া হয়েছে তার দলের প্রতীক ব্যাটও।
তবে পিটিআইয়ের প্রতীক কেড়ে নেয়ায় দলটির প্রার্থীরা সবাই স্বতন্ত্র হিসেবেই লড়ছেন। দেশটির নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বেশিরভাগই ইমরান খানের দলের। প্রায় ২৩৬ জন প্রার্থী বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন, বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপিসহ ছোট-বড় প্রায় ১৪টি রাজনৈতিক দল। তবে নির্বাচনের মাঠে ইমরান খানের পিটিআই না থাকায় এবার নওয়াজ শরিফ বাজিমাত করবেন বলে ধরে নেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, থিংক-ট্যাংক ও বিশ্লেষকরা বলছে, চতুর্থবারের মতো পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসছেন নওয়াজ শরিফ।