Homeআন্তর্জাতিকপাকিস্তানে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ

পাকিস্তানে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ

পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এদিকে ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে মোবাইল পরিবেষা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এক প্রতিবেদনে পাকিস্তান-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবণতির কারণে দেশজুড়ে মোবাইল পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,

সম্প্রতি  সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে; যা দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাকে বিঘ্ন করছে। এ জন্য নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

পাকিস্তানের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় (বাংলাদেশি সময় সকাল ৯টা) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা শেষ হবে বিকেল ৫টায়।

নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭ হাজার ৮১৬ জন প্রতিনিধি। এদের মধ্যে ১৬ হাজার ৯৩০ জন পুরুষ, নারী ৮৮২ এবং চারজন ট্রান্সজেন্ডার। প্রায় ২৫ কোটি জনসংখ্যার দেশ পাকিস্তানে এবার ১২ কোটি ৮০ লাখের মতো ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। বিপুল সংখ্যক জনগণের ভোট গ্রহণে পাকিস্তানজুড়ে ৯০ হাজার ৬৭৫টি ভোটকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ২৭ হাজারের বেশি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রায় সাড়ে ১৮ হাজারকে অতিঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে।

ভোট চলাকালে নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোতায়েন থাকবে সেনাবাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী এবং পুলিশের ৫০ হাজার সদস্য। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্রের ৪০০ মিটারের মধ্যে প্রার্থী এবং রাজনৈতিক কর্মীদের অবস্থান না করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন, বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপিসহ ছোট-বড় প্রায় ১৪টি রাজনৈতিক দল। তবে নির্বাচনের মাঠে নামতে দেয়া হয়নি ইমারন খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পিটিআইকে। কয়েকটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে বন্দি ইমরান। আর এসব মামলার কারণে তাকে নির্বাচনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কেড়ে নেয়া হয়েছে তার দলের প্রতীক ব্যাটও।

তবে পিটিআইয়ের প্রতীক কেড়ে নেয়ায় দলটির প্রার্থীরা সবাই স্বতন্ত্র হিসেবেই লড়ছেন। দেশটির নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বেশিরভাগই ইমরান খানের দলের। প্রায় ২৩৬ জন প্রার্থী বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর